বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিএনপির

এ.এ.এম হৃদয় | ২০:১৯, আগস্ট ১৮ ২০২৪ মিনিট

পটুয়াখালীর বাউফলে সকাল থেকে সরকারি বাস ভবনে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (স্থানীয় এমপি গ্রæপ) মোসারেফ হোসেন খান। অন্যদিকে, সকাল ৬ টার দিকে উপজেলা পরিষদে নিজ অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান এবং ভাইস চেয়ারম্যান আনিচুর রহমানের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান মুঠো ফোনে বলেন, আমি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছি৷ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেও তাদের কোনো সাড়া পাইনি। এদিকে, বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েল সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন। আজ রবিবার (১৮আগস্ট) সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিএনপি নেতা- কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভোর ৫ টার দিকে উপজেলা চত্ত¡রের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। আজকে দাপ্তরিক কাজে অফিস করার কথা ছিলো তার। এখবর ছড়িয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তার বাসভবন ঘিরে ফেলে এবং বাইরে থেকে গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। এরকিছুক্ষণ পরে ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লুকিয়ে উপজেলা চত্ত¡রে প্রবেশ করলে তাকে ধরে মারধর করে একদল দুর্বৃত্ত এবং তাকে সাথে করে স্থানীয় এক সাবেক এমপির বাস ভবনে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, আনিছুর রহমান গত ৫ তারিখ থেকে বিএনপির সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের বাসায় অবস্থান করছেন। আমরা শুনেছি এসময় একটি ভিডিও স্টেটমেন্টে আনিছুর রহমানকে দিয়ে বলানো হয়েছে, আমাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন ও আমার ( ফিরোজ) সহযোগিতায় তিনি বাউফল প্রবেশ করেছেন। আমরা কাউকে সহযোগিতা করতে পারি না। তবে সরকারি সম্পত্তি জনগণের তাই সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে আমরা উপজেলা চত্ত¡রে অবস্থান করছি, যাতে দুর্বৃত্তা এখানে কোনো হামলা করতে না পারে। এদিকে এসব বিষয় মিথ্যা বানোয়াট দাবি করে বিএনপি দলীয় পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার বলেন, আমার বাসার দরজা সবসময় খোলা থাকে৷ প্রশাসন চাইলে এসে দেখে যেতে পারেন। তিনি আরো বলেন, যারা খুনী হাসিনার দোসর তারা নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করছে৷ এতে আমার জনপ্রিয়তা কমানো সম্ভব নয়। দল ও জনগণ আমাকে ভালোবাসে। গণমাধ্যনের কাছে দেয়া তাদের মিথ্যা অভিযোগের জন্য তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান অবরুদ্ধ এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।