জনরোষের ভয়ে অফিস করছেন না পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ওয়াহিদুজ্জামান

এ.এ.এম হৃদয় | ২০:২৬, আগস্ট ১৭ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : জনরোষের ভয়ে গত ৫ আগস্ট থেকে অফিস করেন না পিরোজপুরের নেছারাবাদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কৌরিখাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম ওয়াহিদুজ্জামান। সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, দলবাজি, দুর্নীতিজনিত কারণে মানুষের ক্ষোভ এড়াতে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। জোনাল অফিসের এজিএম চন্দ্র শেখর গাইন বলেছেন, হয়তো অসুস্থতার কারণে তিনি অফিসে আসেন না। কবে নাগাদ তিনি অফিসে আসতে পারবেন, তা-ও তিনি বলতে পারেননি। নেছারাবাদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সন্ধ্যা নদীর পূর্ব পাড়ের ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমাউন কবির বলেন, আমাদের ডিজিএম অফিসের সবার সঙ্গে তুই তোকারি ব্যবহারসহ কারণে-অকারণে সর্বদা চড়ে বসতেন। কথায় কথায় চাকরি খাওয়ার হুমকি দিতেন। তিনি শুধু আমাদের সঙ্গেই নন, জনসাধারণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তার ব্যবহারে লাঞ্ছিত হওয়া কিছু লোক অফিসে এসেছিলেন। তার পর থেকে তিনি আর অফিসে আসেন না। তিনি মূলত সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহ আলমের নাম ব্যবহার করে ক্ষমতা দেখাতেন। যে কারণে সবাই অসহায় ছিলেন। নেছারাবাদ পল্লী বিদ্যুতের কৌরিখাড়া জোনাল অফিসের এজিএম মো. রাসেল জানান, অফিসের ডিজিএম ওয়াহিদুজ্জামান খুবই রাগী ছিলেন। তিনি মূলত অফিসে তার অধস্তন কারও সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন না। পাবলিকের সঙ্গেও তার রিলেশন ভালো নয়। গত ৫ আগস্ট থেকে তিনি অফিসে আসেন না। শুনছি, তিনি নাকি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন। কবে অফিসে আসবেন, তাও জানা নেই। অফিস সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক তিন বছর আগে নেছারাবাদ কৌরিখাড়া জোনাল অফিসে ডিজিএম হিসেবে যোগদান করেন ওয়াহিদুজ্জামান। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সখ্য, অফিস স্টাফদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে খেয়ালখুশি মতো অফিস করতেন তিনি। যে কারণে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে আত্মগোপনে গেছেন তিনি। এমনকি তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রাহকদের অভিযোগ ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল, মিটার সংযোগের জন্য সরকারি টাকা জমা দিয়েও বিড়ম্বনাসহ যা ইচ্ছে তা ব্যবহার করতেন ডিজিএম ওয়াহিদুজ্জামান। এ নিয়ে অফিসে ডিজিএম ওহিদুজ্জামানকে কিছু বলতে গেলেই লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে আসতেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তাই গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ডিজিএম ওয়াহিদুজ্জামানের মৌখিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া জনতা এসে জানতে চাইলে সুযোগ বুঝে অফিস থেকে সটকে পড়েন তিনি। সেই থেকে রোষানলে পড়ার ভয়ে তিনি অফিসে অনুপস্থিত আছেন। নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, তিনি যে অফিসে আসেন না, তা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।’