বরিশাল মিডিয়ায় আবারও হাসিব-রাকিব ও জাকিরের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে

এ.এ.এম হৃদয় | ২২:১২, আগস্ট ০৬ ২০২৪ মিনিট

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান কমিটির কার্যকরী সদস্য ও প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মতবাদ পত্রিকার মালিক এসএম জাকির হোসেনের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মিথ্যা মামলায় তিন সাংবাদিক কারাগারে যাওয়ার পরে বরিশাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের চরম প্রতিবাদের মুখে পড়ে এসএস জাকির। বরিশালের প্রায় ৪০টি উপজেলায় এবং ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণমাধ্যম কর্মীরা জাকিরের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। ওই সময় অসীম ক্ষমতার ধর এসএম জাকির মিডিয়া কর্মীদের চাপের মুখে সাময়িক চুপষে গিয়ে অন্তরালের ভয়ঙ্কর রূপের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। নিজস্ব মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদে হাসিবুল ইসলাম- খন্দকার রাকিবকে ছাত্রদল ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করে ঘায়েলের চেষ্টা করেন। সেখানে ততটা সুবিধা করতে না পেরে মহানগর আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, এমএম জাকিরের মালিকানাধীন দৈনিক মতবাদ ও দখিণের মুখ পত্রিকার কতিপয় অনুগত সাংবাদিক ও কর্মচারীদেরকে নির্দেশ দিয়ে নগরীর স্ব-রোডে পরিকল্পিতভাবে পেশাদার সাংবাদিক খন্দকার রাকিব ও হাসিবের উপরে স্বসস্ত্র হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। আহত হাসিব ও রাকিবকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ও মিডিয়া কর্মীদের চরম প্রতিবাদের মুখে চলে যেতে বাধ্য হয় জাকির বাহিনী। এরপরে আওয়ামী লীগকে বিষিয়ে তুলতে এসএম জাকিরের পত্রিকায় হাসিব-রাকিবকে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করে। তৎকালিন সময়ে বরিশালের ছাত্রলীগ নেতারা হাসিব-রাকিবকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করা জন্য নগরজুড়ে খোঁজাখুজি করলে কিছুদিন আড়ালে থেকে হাসিব ও রাকিব তৎকালিন সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়মী লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর স্বরানপন্ন হলে আওয়ামী লীগের আগ্রাসী হামলা-নির্যাতনের হাত থেকে প্রাথমিকভাবে আত্মরক্ষা পায়। হাসিব-রাকিবকে দমন করতে কৌশলী হয়ে বরিশাল-৪ আসেনর এমপি পঙ্কজ দেবনাথকে দিয়ে মামলা দায়ের করিয়েছিলেন এসএম জাকির, এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগের লোক দিয়ে একাধিক মামলা করানো হয়। এসএম জাকির মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা হলেও বরিশাল বিএনপি, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কতিপয় নেতার সাথে তার পার্টনারশীপ ব্যবসা থাকায় বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। জাকির কেবল সেখানেই ক্ষান্ত হননি, ক্ষমতার দাপটে বরিশাল প্রেসক্লাবে কালো-তালিকাভুক্তিকরণ, প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলকরণ এবং আঞ্চলিক পত্রিকা মালিকদেরকে অযাচিত ক্ষমতা প্রয়োগ করে চাকরিচ্যুতি করিয়েছেন। হামলা-মামলা ও চরম হয়রানি করায় বরিশাল মিডিয়া অঙ্গণে এসএম জাকির ও তার অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধ হয় মিডিয়া কর্মীরা। বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে এসএম জাকির বরিশাল ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের চরম নির্যাতনের প্রতিবাদে জাকিরের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নগরীর বেলসপার্ক সংলগ্ন ইউরো ক্যাফে রেস্তোঁরায় হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা, ওই সময় খবর পেয়ে পেশাদার সাংবাদিক হাসিব ও রাকিব ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা সংবাদ সংগ্রহ করে এবং চরম ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ স্বরুপ কাউকে নিবৃত না করে প্রত্যক্ষ করেন। এ ঘটনার জের ধরে জাকিরের মালিকানাধীন পত্রিকা দৈনিক মতবাদে হাসিব ও রাকিবের নেতৃত্বে রেস্তোঁরায় হামলা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে হাসিব ও রাকিবকে ঘায়েল করতে এখন আওয়ামী লীগের তকমা লাগানো হয়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষিত খন্দকার রাকিব ও হাসিব দীর্ঘদিন ধরে সততা ও নিষ্ঠার সাথে সাংবাদিকতা করে আসছেন। খন্দকার রাকিব বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করে বর্তমানে বরিশাল জজ কোর্টে শিক্ষানবিশ আইন পেশায় নিয়োজিত। হাসিবুল ইসলাম বরিশালের অন্যতম জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ‘বরিশালটাইমস’ এবং খ্ন্দকার রাকিব ‘বরিশাল ক্রাইম নিউজ’ পত্রিকার মালিক, এছাড়াও বরিশালের একাধিক আঞ্চলিক দৈনিক এবং জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছেন। বর্তমানে বরিশাল নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল, বরিশালের সভাপতি হাসিবুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক খন্দকার রাকিব। সাংবাদিকতার নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এসএস জাকির সব সময়ই ক্ষমতাসিনদের সাথে আতাত করতে অতিশয় সুনিপুন।