কয়রায় ছাত্র-জনতার আনন্দমিছিল থেকে ভাঙচুর, গুলিতে আহত ১০

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:০২, আগস্ট ০৫ ২০২৪ মিনিট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানা দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবরে খুলনার কয়রা উপজেলা সদরে আনন্দে মেতে ওঠেন ছাত্র-জনতা। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে আনন্দমিছিল থেকে ভাঙচুর চালানো হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। আগুন দেওয়া হয় খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামানের কয়রা সদরের বাসভবনে। পরে কয়রা সদরে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মহসিন রেজার বাসায় আন্দোলনকারীরা হামলা করতে গেলে বাসার ভেতর থেকে অনবরত গুলি ছোড়া হয়। এতে ১০ জন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হন। কয়েকজন আন্দোলনকারী বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আন্দোলনকারীরা আরও সংগঠিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মহসিন রেজার বাসায় হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা তাঁকে পিটিয়ে ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে এসেছেন। এ ছাড়া বাড়ির মধ্যে আরও তিনজন ছিলেন। তাঁদেরও তাঁরা পিটিয়ে রেখে এসেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা সদরে মিছিল করছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের সভাপতির বাসা থেকে তাঁদের ওপর বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করেছে। গুলিতে সাব্বির, আলতাফ, আবু মুছা, নূরুজ্জামানসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কয়রা উপজেলা সদরের কলেজ রোডে গিয়ে দেখা যায়, কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের সামনে সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামানের বাসভবনের মধ্যে আগুন জ্বলছে। চারদিকে উৎসুক জনতার ভিড়। তাঁদের দাঁড়িয়ে আগুন জ্বলতে থাকার দৃশ্য দেখতে দেখা যায়। আনন্দমিছিল চলছে সড়কে। এ সময় সড়কের কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। কয়রা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ থানার মধ্যে আছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ ছাড়া থানার বাইরে যাব না।’