বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনের সভায় হামলা, আহত ১০
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ জানিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে সুজয় বিশ্বাস শুভ, মাহমুদুল হাসান সজিব, ভুমিকা সরকার, সেজুতি, সিফাত, সুজন মাহমুদ, রাকিব মাহমুদ, সিরাজুল ইসলাম ও জুবায়েরকে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সমন্বয়ক সুজয় বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে ২০ শিক্ষার্থী নিচতলায় সভা করছিলাম এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা এ কে আরাফাতের নেতৃত্বে ২০-৩০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী লাঠি, রড ও পাইপ নিয়ে হামলা চালায়।”
সুজয় অভিযোগ করে জানান, তাদের সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়া পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের সামনে তাদের বেধরকভাবে পিটিয়েছে। এতে তাদের ১০ শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, “হামলাকারীদের মধ্যে ছাত্রলীগের মাহমুদুল হাসান তমাল, আল সামাদ শান্ত, খালেদ হাসান, শাহরিয়ার সান, সাব্বির, জাইফ, সাইফ, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলামকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি।”
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুল বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের সভার শেষ দিকে ছিল। তখন কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপনকে সমর্থন জানানো কিছু শিক্ষার্থী গেট দিয়ে প্রবেশ করে।
“তখন কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের অপর পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন পুলিশ প্রবেশ করে দুই পক্ষকে দুইদিকে সরিয়ে দিয়েছে।” ওসি বলেন, “তারা ছাত্রলীগ কিনা তা বলতে পারব না, তবে তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আপাতত ক্যাম্পাস শান্ত আছে।”
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেয়া আল সামাদ শান্ত বলেন, “গত দুই দিন ধরে ক্যাম্পাসে একটি গুঞ্জন উঠেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সমন্বয়কদের কাছে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা এসেছে।
“এই টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। তখন আমরা (ছাত্রলীগ) গিয়ে তাদের বলি কারফিউর মধ্যে এভাবে করো না। জবাবে তারা কারফিউ ভঙ্গ করে রাস্তায় নেমে পড়বে বলে হুমকি দেয়।”
তিনি বলেন, “এক পর্যায়ে এ নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। এতেআমি , শরীফ ও সান আহত হয়েছেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অমিত হাসান রক্তিম বলেন, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি হয়নি।” বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পরিচালনক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, “৯জন শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছেন। আঘাত গুরুতর নয়। তবে তাদের চিকিৎসা চলছে। ”