বরিশাল বিএম কলেজে রণক্ষেত্র, ছাত্রলীগের হামলায় আহত ২৫ শিক্ষার্থী
সারাদেশে কোটা সংস্কারের কর্মসূচিতে সারাদেশে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আগমুহূর্তে ছাত্রলীগের হামলায় বরিশাল বিএম কলেজের ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটায়। এসময় অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ধারালো অস্ত্রসহ লাঠিসোটা, ব্যাট ও স্টাম্প দিয়ে হামলায় অংশ নেয়। এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলো। সেখানে যোগ দিতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছিলো।
এরপর ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ মাঠের মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায়, চলতি পথে, ক্লাস ও হোস্টেলে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালানো হয়।
আহত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন দৌঁড়ে নথুল্লাবাদে গিয়ে খবর দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একযোগে ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এসময় দুই বার দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে বেদম মারধর করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন আহত হয়। এরপর থেকে কলেজের সামনের সড়কসহ লাঠিসোটা নিয়ে দিনের বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা।
এরপর বিকেলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে উঠে অবরোধ করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষুব্ধরা একটি পুলিশ বক্স ভাংচুর করে। এতে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে বিকেল ৪টা থেকে ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। এতে বরিশালের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যায়।
অন্যদিকে একই দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিকেল ৪টায়। যা রাত পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানা গেছে। এরবাইরেও বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বরিশাল নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আমতলা মোড় এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে। এর প্রভাবে দিনভর অচল হয়ে যায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। শত শত যানবাহন দুই পাশে আটকে যাত্রী ভোগান্তি হয়।