ভোলায় বোরকা কিনে না দেওয়ায় গলায় ফাঁস দিলেন স্কুলছাত্রী

এ.এ.এম হৃদয় | ২১:০১, জুলাই ১৩ ২০২৪ মিনিট

ভোলায় বোরকা কিনে না দেওয়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে অঞ্জুমান (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর গ্রাম থেকে পুলিশ ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অঞ্জুমান ওই গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। সে ভোলা পৌর বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০শ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, পরিবারের অতিরিক্ত শাসন এবং প্রেম সংঘটিত কারনে অঞ্জুমান আত্মহত্যা করেছে। সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, অঞ্জুমান বেশ কয়েকদিন ধরে পরিবারকে বলেছিল তাকে বোরকা কিনে দিতে। কিন্তু পরিবার বোরকা কিনে দিতে অসম্মতি জানালে রাগ-ক্ষোভে ঘরে থাকা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে অঞ্জুমান আত্মহত্যা করে। মৃত অঞ্জুমানের স্বজন এবং স্থানীয়রা জানান, অঞ্জুমান প্রায়ই নতুন নতুন মডেলের বোরকা কিনতো। বাড়িতে একাধিক বোরকা থাকার পরও সে পরিবারকে বলেছিল তাকে নতুন আরেকটা বোরকা কিনে দিতে। কিন্তু তার একাধিক বোরকা থাকার কারনে টাকা অপচয় করে পুনরায় পরিবার তাকে বোরকা কিনে দিতে অসম্মতি জানায়। যার কারনে শনিবার সকালে মায়ের সঙ্গে রাগ-ক্ষোভে অঞ্জুমান আত্মহত্যা করে। স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, অঞ্জুমান বেশ বদমেজাজি মেয়ে ছিলেন। পরিবারের অবাধ্য হয়ে চলাফেরা করতো। পরিবার তাকে কন্ট্রোল করতে পারত না। সে সবসময়ই নিত্যনতুন পোশাক কিনত। যা তার পরিবার পছন্দ করত না। সবশেষ নতুন বোরকা কিনে না দেওয়ার কারনে অঞ্জুমান আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে একটি গুঞ্জন রয়েছে, অঞ্জুমান স্থানীয় একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম করত৷ এ বিষয় নিয়েও পরিবার তাকে নিষেধ করেছিল। কিন্তু সে সব সময়ই পরিবারের অবাধ্য ছিল। ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, দুপুরের দিকে পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষ করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে অঞ্জুমানের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।