বরিশালে নদ-নদীর তথ্য হালনাগাদ বিষয়ক কর্মশালা

এ.এ.এম হৃদয় | ১৯:৪৬, জুলাই ১০ ২০২৪ মিনিট

বরিশালে নদ-নদীর তথ্য হালনাগাদ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকালে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী প্রধান অতিথি ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হান্নান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ড. রবিন কুমার বিশ্বাস এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ মোবাসেরুল ইসলাম। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বরিশাল জেলায় ৩৮টি নদী রয়েছে। নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষার জন্য সকলের একযোগে কাজ করতে হবে তুলে ধরে বক্তারা আরও বলেন, নদী বাচঁলে দেশ বাচঁবে। দেশের স্বার্থে, জীবন জীবিকার জন্য নদীকে দেখভাল করার দায়িত্ব সকলের। বাংলাদেশে অনেক নদ-নদী মৃত্যু উপত্যকায়। দখল-দুষণে অনেক নদী তার অস্তিত্ব হারাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। অনেক নদী আজ প্রভাবশালীদের দখলে। তবে ইতিবাচক খবর হচ্ছে-বর্তমান সরকার এরই মধ্যে নদীকে দখলমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে এবং তার কাজ দৃশ্যমান। নদীরক্ষা কমিশন এ বিষয়ে জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বুড়িগঙ্গাসহ অনেক নদী দখলমুক্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আবার অনেক নদী খননের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নদীর পানিকে দূষণমুক্ত করার জন্য খুব বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যার ফলে নদী তার স্বাভাবিক স্বাচ্ছন্দ্য হারাচ্ছে। নদী মানুষের মাছের চাহিদা পূরণের জন্য অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে। নদীর পাড়ের মানুষ আজও মাছ ধরে জীবন নির্বাহ করে। নদী প্রায় ৭০% মাছের চাহিদা মেটায়। সে লক্ষে নদীরক্ষার পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ রক্ষার আহ্বান জানান বক্তারা। কৃষিখাত বাংলাদেশ অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি। কৃষি প্রধান বাংলাদেশের চাষাবাদ ব্যবস্থা অনেকটাই নদীর সেচের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে অনেক নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এক্ষেত্রে নদী খননের সাথে খান খননের কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করা হয়। কর্মশালায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।’