শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসকদের দু’গ্রুপে হট্টগোল

এ.এ.এম হৃদয় | ১৯:১৮, জুলাই ১০ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সভাপতির কক্ষে দুই চিকিৎসকের মধ্যে বাগবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন চিকিৎসকরা। সমস্যার সমাধানে তাৎক্ষণিক বৈঠক করেছেন হাসপাতালের পরিচালক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার  দুপুরে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির ১৪৭ নম্বর কক্ষে চিকিৎসকদের বৈঠক চলছিল। ওই বৈঠকে হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর আলম ওয়ার্ডে প্রফেসরদের রাউন্ডে না যাওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন। এ সময় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সার্জারী ইউনিট প্রধান ডা. নাজিমুল হক তাকে ভৎসনা করেন। এ নিয়ে দুই চিকিৎসকের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে উপস্থিত চিকিৎসকরা তাদের নিবৃত্ত করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন হাসপাতাল ও কলেজের শিক্ষকরা। এবং সহকারি পরিচালক তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাজিমুল হকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন হাসপাতালের পরিচালক। সূত্রের খবর, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রফেসর রয়েছেন ৬ জন, মেডিকেল কলেজে ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালে ওয়ার্ডে রাউন্ডের দায়িত্ব রয়েছেন তারা। কিন্তু বেশির ভাগ সময় তাদের অনুপস্থিত থাকার কারণে রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ওই বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় এ ধরনের বাগবিতন্ডার ঘটনা ঘটে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (অর্থ ও ভান্ডার) সহকারি পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে উপাধ্যক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলাম প্রফেসর লেবেলে যারা আছেন, তাদের ওয়ার্ডে রাউন্ডের বিষয়টি। এতে করে উপাধ্যক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় আমিও কিছু কথা বলে ফেলি। ওয়ার্ডে রাউন্ডে প্রফেসরদের যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যই মূলত বিষয়টি উত্থাপন করি। উপাধ্যক্ষের দাবি হচ্ছে, প্রফেসররা প্রতিদিনই রাউন্ডে আসেন। তিনি বলেন, হাসপাতালের যাতে দুর্নাম না হয়। যারা চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন তারা যেনো চিকিৎসা পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছিলাম। এর বেশি কিছু নয়। যখন বলি তাদের রাউন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তখন উপাধ্যক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। হয়তো আমি কিছুটা উত্তেজিত হয়েছি। উপাধ্যক্ষ মুরব্বী মানুষ, তিনি হয়তো আমার উত্তেজিত হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি উপাধ্যক্ষ ও সার্জারী ওয়ার্ড প্রধান ডা. নাজিমুল হক। শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বিষয়টিকে দুঃখজনক অবহিত করে বলেন, উপাধ্যক্ষের সাথে সহকারি পরিচালকের কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সাথে সাথে সকলকে নিয়ে বৈঠক করে সমাধানে এসেছি।’