ঢাকায় ডিবি পরিচয়ে কোটি টাকা লুট, বরিশালে গ্রেপ্তার মূলহোতা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ছিনতাই-ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি মো. কবির হোসেন তামিদারকে বৈদেশিক মুদ্রাসহ গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) মিডিয়া সেল।
মিডিয়া সেলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তানজিল জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার কবির ঢাকার শান্তিনগরে ফিল্মি স্টাইলে কোটি টাকা ডাকাতি মামলার মূলহোতা। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছিলেন। এসআই তানজিল জানান, গ্রেপ্তার ডাকাতদলের অন্যতম সদস্য কবির হোসেন তামিদার (৩৮) ঝালকাঠি সদরের বিনয়কাঠি ইউনিয়নের বহমপুর এলাকার আ. খালেক হাওলাদারের ছেলে। সম্প্রতি তিনি বরিশাল নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সাগরদী সর্দারপাড়া এলাকার জনৈক জসিম উদ্দিন খানের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেন।
মিডিয়া সেলের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিএমপির গোয়েন্দা শাখা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ঢাকার শান্তিনগরে ফিল্মি স্টাইলে কোটি টাকা ডাকাতির মামলার মূলহোতা কবির বরিশাল নগরে অবস্থান করছেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. ছগির হোসেনের নেতৃত্বাধীন এসআই মো. জাহিদ হাসান, এএসআই মো. জাকির হোসেন, এএসআই মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সমন্বিত বিশেষ অভিযানিক টিম সর্দারপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ডাকাতদলের সদস্য কবির হোসেন তামিদারকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তার হেফাজত থেকে ১৮ হাজার রিয়াল (সৌদি আরবের মুদ্রা) এবং দুটি ফিচার ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বৈদেশিক মুদ্রা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত বেশি দামে বিক্রি করার জন্য কবির অবৈধভাবে নিজ হেফাজতে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মো. ছগির হোসেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার কবিরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অপহরণ ছিনতাই ও ডাকাতিসহ ৬টি মামলা রয়েছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ জুলাই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ঢাকার শান্তিনগর থানা এলাকায় দুই রিকশা আরোহীকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়।
ওই দুই আরোহীর কাছে দুটি ব্যাগ ভর্তি তাদের কোম্পানির ১ কোটি ১২ লাখ টাকাও ছিল।সেই টাকা আর মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে রিকশা আরোহী দুজনকে কেরানীগঞ্জের নির্জন জায়গায় ফেলে দেয় অপহরণকারীরা। এর কয়েকদিন পর ঢাকার ডিবি পুলিশ ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করলেও কবির ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।