বাউফলে পল্লী বিদ্যুতের ‘ভূতুড়ে’ বিলের প্রতিবাদে ঝাড়‍ু মিছিল

এ.এ.এম হৃদয় | ২২:৪৩, জুলাই ০৮ ২০২৪ মিনিট

পটুয়াখালীর বাউফল পল্লী বিদ্যুতের ভূতুরে বিলের প্রতিবাদে ঝাড়‍ু মিছিল করেছে ক্ষুব্দ গ্রাহকরা। সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টায় পল্লী বিদ্যুতের বাউফল জোনাল অফিসের সামনে এ ঝাড়ু মিছিল করা হয়। সরেজমিনে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ বাউফল জোনাল অফিসের আওতায় গ্রাহকদের গত জুন মাসে স্বাভাবিক বিলের চেয়ে দুই বা তিনগুন বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে । যা গ্রাহকদের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের চেয়ে অনেক বেশী। এ অস্বাভাবিক বা ভূতরে বিল নিয়ে গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে গেলে তারা সন্তোষকজন কোন উত্তর না দিয়ে বরং গ্রাহকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। আর এ কারণে ক্ষুব্দ গ্রাহকরা জোনাল অফিসের সামনে জড়ো হয়ে ঝাড়ু মিছিল করে । কনকদিয়া ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক মোঃ শাহআলম তালুকদার ( মিটার নং১০৪০০২৪৫১৩৯৪৬) অভিযোগ করেন, গত মে মাসের তার বিদ্যুৎ বিল আসে ৮২ টাকা। অথচ জুন মাসের বিল আসে প্রায় পাঁচগুন ৪০৪ টাকা। কালাইয়া ইউনিয়নের মোঃ আসাদুল (মিটার নং১০৪০০২২৬৩২০১৪) অভিযোগ করেন গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২৭৩ টাকা । অথচ জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল আসে ১ হাজার ১১২ টাকা। দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুর বারিয়া গ্রামের মোঃ মনির রাড়ি (মিটার নং১০৪০০২৬৭৯৫০০) গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২২৫ টাকা। অথচ জুন মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ১হাজার ৭৪ টাকা। দাশপড়া গ্রামের মোঃ নুর হোসেন (মিটার নং ১০৪০০২০৪০৩৭৬০) অভিযোগ করেন গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ৬৫৮ টাকা । অথচ জুন মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২হাজার ৭০৯ টাকা। এরকম হাজার হাজার গ্রাহকের গত মে মাস থেকে এই জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল দুই-তিনগুণ বেশি হয়েছে । তাই এই ভূতরের বিলের হাত থেকে প্রতিকার পেতে তারা সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ঝাড়‍ু মিছিল করেছেন । এ সময় পল্লী বিদ্যুৎ এর দ্বায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে অফিসে না পেয়ে বিক্ষোভ কারি গ্রাহকরা উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ বশির গাজির কার্যালয়ে গিয়ে তার কাছে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী বলেন, বেশ কয়েকজন বিদ্যুৎ গ্রাহক আমার কার্যালয় আসেন এবং তাদের সমস্যার কথা অবিহিত করেন । আমি বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিক পল্লী বিদুতের বাউফল জোনাল অফিসের এজিএম কম প্রকৌশল গগন সাহার সাথে কথা বলি। তিনি আমাকে জানান, কয়েক দফা ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সেক্টরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে মিটার রিডাররা অধিকাংশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইউনিট সংগ্রহ করতে পারেননি । অনুমান নির্ভর বিল করেছেন। তাই অতিরিক্ত বিল এসেছে । গ্রাহকরা অফিসে এসে আপত্তি জানালে তার সংশোধন করে দিবেন । এ ব্যাপারে বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, বিক্ষোভের বিয়টি আমার নজরে আসায় আমি বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। ঘূর্ণি ঝড়ের কারণে সব জায়গার মিটার রিডিং আনা হয়নি। সেই সব এলাকার অনুমান নির্ভর বিল করা হয়েছে। যে কারণে অতিরিক্ত বিল এসেছে। সেগুলো সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে।