বরগুনায় শত্রুতার জেরে মৎস্যজীবীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:২৯, জুলাই ০৭ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনা পাথরঘাটায় পূর্বশত্রুতার জেরে শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া এলাকার একচল্লিশ ঘর নামক স্থানে শহিদুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন। নিহত শহিদুল ইসলাম হাওলাদার একই এলাকার মৃত বাহার আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন জেলে ছিলেন। নিহত শহিদের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, রাত ১০টার দিকে জ্ঞানপাড়ার বান্দাঘাটা এলাকায় মহাজন বনি আমিনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়িতে আসার পথে নাসির বিশ্বাস, রুবেল বিশ্বাস, আব্বাস মল্লিকসহ পাঁচ-ছয়জন শহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রাত দেড়টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাশিদা তানজুম হেনা বলেন, রাত দেড়টার দিকে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের বিশটির মতো আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া পায়ের রগ কাটা ছিল। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন রাত ২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরদুয়ানি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি, একচল্লিশ ঘর, বান্দাঘাটা, জ্ঞানপাড়া এলাকায় বেশ কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে শহিদের ওপর হামলা এবং তাঁর মৃত্যুর পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন বলেন, নাসির বিশ্বাস, রুবেল বিশ্বাস, আব্বাস মল্লিকসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মৃত শহীদ কর্তৃক পূর্বেই মামলা রয়েছে। বর্তমানে মামলা চলমান আছে। শহিদুল ইসলামের হত্যাকারীদের আটক করতে রাত থেকেই অভিযান চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে‌। বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত লোমহর্ষক। আমি খবর পেয়ে ঢাকা থেকে পাথরঘাটার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য থানা-পুলিশকে বলেছি।’