বাউফলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

এ.এ.এম হৃদয় | ২১:২৩, জুলাই ০৭ ২০২৪ মিনিট

পটুয়াখালীর বাউফলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে একই প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গত ৩০ জুন ওই শিক্ষাথীর পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা শালীস মিমাংসায় বসে সমাধান করে দিবে বলে সময় পাড় করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই ভূক্তভোগী। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়নের ডালিমা দাখিল মাদ্রাসার এক ছাত্রী (১৬) মাদ্রাসা থেকে ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। গনিত বিষয়ে রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় শহিদুল ইসলামের কাছে ওই শিক্ষাথী গনিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়েন। শহিদুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক। ৩০ জুন রবিবার বিকাল সোয়া ৬ টার দিকে প্রাইভেট শেষ হলে অন্যান্য শিক্ষার্থীকে বিদায় দিয়ে তাকে টেবিলে বসতে বলে। ওই সময়ে রুমের দরজা বন্ধ করে শহিদুল ইসলাম তাকে জড়াইয়া ধরে টেবিলের উপর সোয়াইয়া শরীরের বিভিন্ন স্পর্ষকাতর স্থানে হাত দিয়ে পড়নের কাপড় খুলে ফেলে। শিক্ষার্থী ভয়ে ডাকচিৎকার না করিয়া বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে বলেন। শিক্ষার্থীর মা (৪৫) বলেন, মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার আশা করছি। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা মোতাহার হোসেন খান,স্থানীয় নেতা হারুন ব্যাপারী ও সাবেক ইউপি সদস্য মনির হোসেন ইতিমধ্যে শালীস মিমাংশার নামে ১লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন দেওয়ার কথা বলে আমাকে চাপিয়ে দেয়। আমি এই শালিস মানিনা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কল কেটে বন্ধ করে রাখে। বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভূক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।