পিরোজপুরে হ*ত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী-সন্তানসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

এ.এ.এম হৃদয় | ২২:৩০, জুলাই ০১ ২০২৪ মিনিট

পিরোজপুরে হত্যা মামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তার স্ত্রী ও ছেলেসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম এ রায় দেন। মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট বুইচাকাঠী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক শেখ (৭১), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৮), ছেলে রাজু শেখ (৩১), একই এলাকার দেলোয়ার শেখ (৪৮), আবুল শেখ (৫৮), বাবুল মল্লিক (৪৯), এবং বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার উমাঝুড়ি গ্রামের জাফর শেখ (৫৮)। জানা গেছে, জেলার নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট বুইচাকাঠী গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশী জসিম খানকে (২৭) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২১ জনকে আসামি করে নিহতের বড় ভাই রাজু খান বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আর এ মামলার ১০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট বুইচাকাঠী গ্রামের হাফেজ জহুরুল ইসলাম শেখ, তার মা হাজেরা বেগম, একই এলাকার ও আত্মীয় ইমারত খান, রাবেয়া বেগম, বাবু মীর, আব্দুর রব শেখ এবং জাফর শেখ। মামলা চলাকালে হাতেম আলী শেখ ও রাজ্জাক মল্লিক নামে দুই আসামির মৃত্যু হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ২৫ এপ্রিল সকালে রাজু খান ও তার ছোট ভাই জসিম খান বুইচাকাঠীতে নিজের বাড়ি থেকে বের হন। এসময় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জসিমকে কুপিয়ে স্থানীয় দেলোয়ার শেখের ঘরে নিয়ে আটকে রাখেন। সেই সঙ্গে রাজু খানকেও তারা পিটিয়ে আহত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে আহত জসিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন রাজু বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি জহুরুল ইসলাম বলেন, আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৯ জনের নামে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এর মধ্যে সাতজনের সাজা হয়েছে, ১০ জন খালাস পেয়েছেন আর দুজনের মৃত্যু হয়েছে মামলা চলাকালে। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী ইলিয়াস হোসেন বলেন, রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করব।