বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি

এ.এ.এম হৃদয় | ১৮:৫৬, জুন ২৯ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। তারা অভিযোগ করেন, ডাক্তার, স্টাফ, দালাল ও হাসপাতালে রোগী আনা-নেওয়া করা অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি। তারা অবিলম্বে এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি তোলেন। আজ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা কমিটির নতুন সভাপতি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীমের সঙ্গে নগরীর সর্বস্তরের মানুষের উন্মুক্ত সভায় এই দাবি তুলে ধরা হয়। এ সময় অনেকে এই অবস্থা থেকে উত্তরণে হাসপাতাল পরিচালনায় সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। শেবাচিম ও জেনারেল হাসপাতালে বিকল যন্ত্রে নাকাল রোগীরাশেবাচিম ও জেনারেল হাসপাতালে বিকল যন্ত্রে নাকাল রোগীরা বক্তারা আরও বলেন, হাসপাতালের আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস-এর উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ট্রলিতে রোগী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে স্টাফদের টাকা নেওয়া বন্ধ করতে হবে। হাসপাতালের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আনসার সদস্য নিয়োগ করতে হবে। সভায় বক্তব্য দেন এনজিও সংগঠক কাজী জাহাঙ্গির, জাসদ নেতা আব্দুল হাই মাহবুব, বাসদ সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী, বর্ষীয়ান তপন চক্রবর্তী, মানবাধিকার সংগঠক ডা. হাবিবুর রহমান, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়্যারম্যন প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস প্রমুখ। দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন শেবাচিম হাসপাতাল, ভোগান্তিতে রোগীরাদুই ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন শেবাচিম হাসপাতাল, ভোগান্তিতে রোগীরা ওই সভায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, এটি কোনো উৎসব মুখর অনুষ্ঠান নয়। আপনারা জানেন আমাকে শেবাচিম এবং বরিশাল সদর হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়ন করা হয়েছে। আমি রাজনীতিতে আসার পরে চেষ্টা করেছি বরিশালের মানুষের যাতে সেবা করতে পারি। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালে এসে গত ২৩ জুন আল্লাহ দোয়া কবুল করেছেন। আমি মনে করি হাসপাতালের সেবা প্রদানের মাধ্যমে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সেবা করতে পারব। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলি সিদ্দিকী, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা এবং অ্যাডভোকেট কেবিএস আহমদ কবির প্রমুখ।’