কলেজের খেলার মাঠ ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করার প্রতিবাদ

আল-আমিন | ২১:৩৩, জুন ২৫ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল কলেজের একমাত্র খেলার মাঠ ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় বরিশাল সরকারি কলেজ গেটে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি কমরেড বিজন সিকদার এবং পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলার সমন্বয়ক ডা মনিষা চক্রবর্ত্তী, বরিশালের সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান, বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য শহিদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলার দপ্তরবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক অদিতি ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার অর্থবিষয়ক সম্পাদক ফারজানা আক্তার, সরকারি বরিশাল কলেজ শাখার সংগঠক শিবানী শিকদার, কলেজ শিক্ষার্থী সোয়েব, হীরা প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বরিশাল সরকারি কলেজ মহাত্মা অশ্বিনী কুমারের বাসভবনে প্রতিষ্ঠিত একটি দীর্ঘকালের ঐতিহ্যবাহী কলেজ। সরকারি বরিশাল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি মাত্র খেলার মাঠ রয়েছে। কিন্তু সেই মাঠ নষ্ট করে একটি ছয়তলা ভবন নির্মাণ করার পরিবেশবিধ্বংসী পরিকল্পনা করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের যদি ভবন প্রয়োজন হয় তাহলে দ্বিতল ভবনগুলোকে বহুতল করে শ্রেণিকক্ষের সংকট নিরসন করতে পারে অথবা নতুন জায়গা কিনে পরিকল্পনা করে ভবন নির্মাণ করতে পারেন। অশ্বিনী কুমার দত্তের বসতবাড়িতে নির্মিত এই ঐতিহ্যবাহী কলেজে এর আগেও তমাল গাছ কেটে ফেলা, পুকুর ভরাট করার অপচেষ্টা হয়েছে । একজন শিক্ষার্থীর বেড়ে ওঠার জন্য শুধু মুরগির খোপের মতো কিছু ভবনই প্রয়োজন নেই, খেলার মাঠ-গাছগাছালি-পুকুরের ও প্রয়োজন রয়েছে। না হলে দেহমনে বিকাশিত না হয়ে, খেলাধুলা-সাংস্কৃতিক আয়োজন থেকে বঞ্চিত হলে তরুণদের মধ্যে মাদকাসক্তি ও কিশোর গ্যাং তৈরির প্রবণতা আরও বাড়বে। বক্তারা অবিলম্বে বরিশাল কলেজের খেলার মাঠ ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানান এবং খেলার মাঠ নষ্ট করে পরিবেশবিধ্বংসী এই ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করা না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সমাবেশ শেষে একটি সংক্ষিপ্ত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে নেতারা স্মারকলিপি দিতে গেলে অধ্যক্ষকে পাওয়া যায়নি এবং প্রধান অফিস সহকারী মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন স্মারকলিপি নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ই-মেইলের মাধ্যমে স্মারকলিপি পাঠানো হয়।