বরগুনায় বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ২ ভাইকে ছুরিকাঘাত

আল-আমিন | ২২:০০, জুন ১৮ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনার পাথরঘাটায় কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে ছুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সুজন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এছাড়া সাম্প্রতিক শেষ হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থন নিয়েও ভুক্তভোগী দুই ভাইয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত সুজনের বিরোধ চলছিল। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কামার হাট নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম নাছির। আহত দুই ভাই হলেন, হাসান এবং আব্দুল্লাহ মুবিন। তারা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কামার হাট এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হক খানের ছেলে। আহতদের মধ্যে আব্দুল্লাহর অবস্থা গুরুতর হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সুজন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হানিফ মিয়ার ছেলে। কালমেঘা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সুজন পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণার কাজ করেন। অপরদিকে ভুক্তভোগী হাসান ও আব্দুল্লাহ বর্তমান নির্বাচিত দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। ওই সময় থেকেই উভয়পক্ষের মধ্যে নির্বাচনে সমর্থন নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। নির্বাচনপরবর্তী সময়ে অভিযুক্ত সুজন ভুক্তভোগীদের কলেজ পড়ুয়া বোনকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ভাই আব্দুল্লাহর পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দেন সুজন। এ সময় আব্দুল্লাহকে বাঁচাতে তার বড় ভাই হাসান ছুটে এলে তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান সুজন। স্থানীয়রা আহত হাসান ও আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আব্দুল্লাহর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। উত্ত্যক্তের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই রাস্তাঘাট দিয়ে যাওয়া আসার সময়ে সুজন বিভিন্নভাবে ইশারা ইঙ্গিতে আমাকে উত্ত্যক্ত করতেন। তবে তিনি কখনো মুখে কিছু বলেননি। এছাড়াও আমার শরীর ঘেঁষে মোটরসাইকেল চালিয়ে ভয়ভীতি দেখাতেন। বিষয়টি সকালে মায়ের কাছে বললে সন্ধ্যার পর আমার ভাইদের উপর এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার সময়ে আমরা বাড়িতে থাকায় উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় নাকি আগে থেকে নির্বাচনের বিরোধের বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে তা সঠিকভাবে এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি। কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম নাছির বলেন, ছুরিকাঘাতে দুজনকে আহতের বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিযুক্ত সুজন আসলেই খারাপ প্রকৃতির লোক। এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশের ওসি মো. আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ রাত থেকেই কাজ শুরু করেছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।’