ঈদের বাকি দুদিন, ছাড় দিয়েও শপিংমলে ক্রেতার দেখা নেই

আল-আমিন | ১৯:৩১, জুন ১৫ ২০২৪ মিনিট

কোরবানির ঈদ দরজায় কড়া নাড়ছে। উৎসবের আনন্দ একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চলছে প্রস্তুতি। এই ঈদে গরু, ছাগল থাকে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। সে তুলনায় ফ্যাশন হাউজ-বিপণিবিতানে নেই ভিড়। বিক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার বেচাবিক্রি হয়েছে ভালোই। আজও বিকেলের পর বিক্রি বাড়ার আশা করছেন তারা। তবে ঈদের এসময়েও ক্রেতা টানতে মূল্যছাড়সহ নানান সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরপরও শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দোকানগুলোতে ক্রেতার দেখা তেমন মেলেনি। শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে মিরপুরের শাহ আলী, মিরপুর শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ঈদের বাকি দুদিন, ছাড় দিয়েও শপিংমলে ক্রেতার দেখা নেই মিরপুর শপিং সেন্টারের তিনতলায় উঠে চোখে পড়ে কয়েকটি দোকানে ক্রেতাদের শাড়ি, জামা দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে বেশিরভাগ দোকানই ছিল ক্রেতাশূন্য। বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন। দু-একজন ক্রেতা দেখলেই পোশাকসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ডাকাডাকি করছেন। রাহাত ফ্যাশন দোকানটিতে গিয়ে দেখা যায়, একজন নারী ক্রেতাকে পোশাক দেখাচ্ছেন বিক্রেতা গুলজার। এই বিক্রেতা বলেন, রোজার ঈদের চেয়ে কোরবানির ঈদে বেচাকেনা সাধারণত কম হয়। তবে গত কোরবানির ঈদের চেয়ে এবার বিক্রি কম হচ্ছে। শুক্রবার ছুটির দিন ক্রেতা ভালোই ছিল। আজও বিকালের পর ক্রেতা বাড়বে। মার্কেটটির বিক্রেতারা বলছেন, ঈদে ছোটদের পোশাক ও জুতা বিক্রি হচ্ছে বেশি। ক্রেতা টানতে মূল্যছাড় দিচ্ছেন তারা। মার্কেটটির ২য় তলায় সাজিদ নামের একজন কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, বড়দের জামাকাপড়ের চাহিদা কম। ছেলে শিশুদের শার্ট, প্যান্ট, মেয়েদের ফ্রক, গাউন বিক্রি হচ্ছে বেশি। বিছানার চাদর, মশারি বিক্রেতা রায়হান বলেন, এ ঈদে কোনো চাঁদরাত নাই। শুক্রবার বিক্রি ভালোই হয়েছে। সেদিনই মূল চাপ গেছে। সবার আগ্রহ গরু, ছাগলে। বাকি সময়ে টুকটাক কিছু বিক্রি হবে। মার্কেট ও বিপণিবিতানে ক্রেতা না থাকলেও  ফুটপাত ছিল ক্রেতায় পরিপূর্ণ।