টিকটকার লায়লাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

আল-আমিন | ১৯:২৪, জুন ১৩ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : টিকটকার লায়লা আখতার ফারহাদকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লা বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেছে। অথচ আমরা দেখছি, প্রিন্স মামুন ও লায়লা উভয়েই সজ্ঞানে দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে থাকছে। বিবাহিত নাকি অবিবাহিত বিষয়টি তারা কখনো স্পষ্ট করেনি। কিন্তু লায়লা নিজ বাসায় মামুনকে নিয়ে থেকেছে। উল্লেখ্য, লায়লা বিবাহিত ও তার একাধিক সন্তান রয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে তারা বিভিন্ন সময়ে ভাইরাল কন্টেন্ট দিয়েছে এবং তা থেকে স্পষ্ট তারা (লায়লা ও মামুন) স্বেচ্ছায় নিজ ইচ্ছায় দীর্ঘদিন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। অথচ আইনের দৃষ্টিতে শুধু প্রিন্স মামুন অপরাধী কিন্তু লায়লা নয়। যা স্পষ্টতো লিঙ্গ বৈষম্যপূর্ণ আইনের কারণে। যেহেতু উভয়ে সামাজিকভাবে অপরাধী তাই উভয়কেই শাস্তির আওতায় আনা উচিত, যেন পরবর্তী প্রজন্ম এ সব অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে। বর্তমান আইন যেহেতু লিঙ্গ নিরপেক্ষ নয় তাই দ্রুত এ বৈষম্যপূর্ণ আইনকে পরিবর্তন/ সংশোধন করে যুগোপযোগী করে তোলা আবশ্যক। সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, নারী মানেই ভিকটিম এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারীরাও অপরাধ করতে পারে। বর্তমান সমাজে নারীকে নিরপরাধী বলে বিবেচনা করা হয়। ফলে সকল অপকর্মের দায় পুরুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ায় পারিবারিক সম্প্রীতি আজ ধ্বংসের পথে। লায়লা ও প্রিন্স মামুন একি অপরাধ করার পরেও আইনের দৃষ্টিতে মামুন অপরাধী ও লায়লা ভিক্টিম এ কেমন যুক্তি? সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বলেন, লায়লা কোনো কচি খুকি নয়। তার পূর্বেরও দুটি বিয়ের কথা শোনা যায় এবং তার সন্তানও আছে। মামুনের চাইতে লায়লার বয়স বেশি তাই লায়লাকে ভুল বুঝিয়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে এটা কেউ বিশ্বাস করে না। যদি অপরাধ হয়ে থাকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে ব্যভিচারে নর-নারী দুজনের শাস্তির বিধান করতে হবে। দেশের প্রচলিত আইনে নারীকে ব্যভিচারের জন্য শাস্তি দেওয়া যায় না। কিন্তু পুরুষের শাস্তির বিধান আছে যা একটি বৈষম্যপূর্ণ আইন। আমরা অতি দ্রুত এ আইন পরিবর্তন এবং লায়লাকেও একই আইনে গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি ডা. আব্দুর রাজ্জাক খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, কোষাধ্যক্ষ আল আমিন, ঢাকা জেলা কমিটির ইয়াসির আরাফাত, সোনারঁগাও উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহ জালাল ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন প্রমুখ।