বরিশালে চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যুতে ৯ জন পুলিশি হেফাজতে

কামরুন নাহার | ২০:৪৫, এপ্রিল ২৮ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এমএ আজাদের (সজল) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি, কোতোয়ালি থানা) মো. রাসেল। তিনি বলেন, মমতা হাসপাতালের নয় কর্মীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্ত ও বিভিন্ন আলামত উদ্ধারে থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই এবং সিআইডি পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। সকালে নগরের কালিবাড়ি রোডের মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে তার স্ত্রী ঢাকা থেকে ফোনে যোগযোগ করে না পাওয়ায় মমতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার রুমে তালা দেওয়া দেখে পুলিশে খবর দেয়। সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই কক্ষের তালা ভাঙা হয়। সেখানে তার চশমা ও মোবাইল ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর খোঁজাখুঁজি করে হাসপাতালের নিচতলায় লিফটের নিচে তার মরদেহ দেখতে পান মমতা হাসপাতালের এক কর্মী। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, গতকাল থেকে ডা. আজাদ নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে শহরের কালীবাড়ী সড়কে মমতা ক্লিনিকের লিফটের নিচে ফাঁকা জায়গায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। কেন, কীভাবে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন সেটা আমরা জানতে পারিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে, তারা বিষয়টা দেখছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোক্তার হোসেন জানান, এক ওটি বয় লিফটের নিচে মরদেহ দেখতে পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করছে। তিনি বলেন, লিফট থেকে পড়ে গিয়ে এ ঘটনা ঘটার কথা নয়। এটি স্বাভাবিক কোনো দুর্ঘটনা বলেও মনে হচ্ছে না। এছাড়া মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব না। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। জানা গেছে, ডা. এমএ আজাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের স্বরুপকাঠিতে। শের-ই বাংলা মেডিকেলে দায়িত্ব পালন শেষে শহরে কালীবাড়ি রোডে মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগী দেখতেন ডা. আজাদ। দশতলা ওই ভবনের ১ থেকে ৬ তলা পর্যন্ত হাসপাতালের কার্যক্রম চলে। দোতলায় ছিল ডা. আজাদের চেম্বার। এ ভবনেরই সপ্তম তলার একটি ইউনিটে একা থাকতেন তিনি।