ঢাকা-বরিশাল লঞ্চের টিকেটের জন্য নেই সেই চিরচেনা হাহাকার

আল-আমিন | ১৯:০০, জুন ১৩ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই বছর ধরেই ঈদের সময় ঢাকা-বরিশাল লঞ্চের টিকেটের জন্য চিরচেনা সেই হাহাকার নেই। কেবিনের টিকেট মিলছে অনেকটা সহজেই। এর মধ্যে জ্বালানী তেলের দাম বাড়লেও বাড়েনি টিকেটের দাম। একসময় নৌপথে ঈদযাত্রায় ঢাকা-বরিশাল লঞ্চের কেবিনের টিকেট ছিল যেনো সোনার হরিণ। এক-ওকে ধরাধরি করেও মিলতো না টিকেট। এখন আর সেই দিন নেই। পদ্মা সেতু চালুর পর লঞ্চের টিকেট পেতে আর যুদ্ধ করতে হয় না। ঈদের আগে ছুটির কয়েকদিন ছাড়া সহজেই পাওয়া যায় কেবিনের টিকেট। লঞ্চ যাত্রীরা জানালেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পূর্বে দুই সপ্তাহ আগে থেকে চেষ্টা করেও লঞ্চের কেবিনের টিকিট পাওয়া দুষ্কর ছিলো। আর ডেকে ছিলো গাদাগাদি ভিড়। এখন সে চিত্র বদলেছে। লঞ্চের টিকেট ক্লার্করা জানালেন, এবার ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য টিকেটের চাহিদা বেশি। এজন্য এক সপ্তাহ আগে থেকেই কেবিনের টিকেট দিচ্ছেন তারা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে যাত্রী ধরে রাখতে লঞ্চের ভাড়া বাড়াননি মালিকরা। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন বলে জানান তারা। লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল জানান, নৌপথে ঈদে ঘরমুখী মানুষের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক, পদ্মা সেতুর কারণে নৌপথের যাত্রী অনেক কমে গেছে। বরিশাল নদী বন্দরের কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এবারও যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রায় সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছেন। যাত্রীদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে বাড়তি লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করছে বৃহস্পতিবার থেকে। দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে শতাধিক লঞ্চ। আর এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করবে স্পেশাল সার্ভিসের আটটি লঞ্চ।