বরগুনায় নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে কারাগারে শিক্ষক

আল-আমিন | ২০:৪৭, জুন ১০ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার বারডেম হাসপাতালের এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনার এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাকে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ সোপর্দ করা হয়েছে। এসময় আদালতের বিচারক শাহরিয়ার কবির তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে রোববার রাতে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ আমতলী থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে এবিএম জাকারিয়াকে আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম এবিএম জাকারিয়া। তিনি বরগুনার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। জাকারিয়া তালতলী উপজেলার হুলাটানা গ্রামের সেকান্দার আলী হাওলাদারের পুত্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবিএম জাকারিয়া ঢাকার বারডেম হাসপাতালে এক নার্সকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নার্সের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক ঔষধ খাইয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর ভ্রন হত্যা করে। এরপর থেকে ওই নার্সের সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চলতি বছরের ১৯ মে ওই নার্স ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ স্কুল শিক্ষক এবিএম জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক শাহরিয়ার কবির মামলাটি আমলে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ মতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘এবিএম জাকারিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। এতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাই। পরে আমাকে জোর করে ঔষধ খাইয়ে ভ্রণ হত্যা করেছে। এরপর থেকে আমার সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি লম্পট এবিএম জাকারিয়ার শাস্তি দাবি করছি।’ এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমতলী থানা পুলিশের সহায়তায় একটি ধর্ষণ মামলার আসামী এবিএম জাকারিয়াকে আমতলী পৌর শহরের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের একটি ধর্ষণ মামলায় স্কুল শিক্ষক এবিএম জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশে দেন। তালতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এবিএম জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছি। তিনিই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।’ বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মুকিত মোল্লা বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিবেদন পেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’