বরিশালে লম্পট টেইলার্স মালিকের হামলায় সাংবাদিক শহিদুল আহত

আল-আমিন | ১৮:৫৯, জুন ০৬ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর চৌমাথা নবগ্রাম রোডে অবস্থিত ওয়েলকাম টেইলার্সের মালিক মিজানুর রহমান তার অধীনস্থ কর্মচারী ঝুমুরকে বিভিন্ন সময়ে কু প্রস্তাব দিয়ে আসতেছিল। লম্পট মিজানের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঝুমুরের বেতন আটকে রেখে ব্লাকমেইল করতো। এতে বিরক্ত হয়ে ঝুমুর বেগম সাংবাদিক শহিদুলকে বিষয়টি জানালে বিগত এক সপ্তাহ আগে লম্পট মিজানের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লম্পট মিজান শহিদুলকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। বুধবার (৫ জুন) ঝুমুর বেগম অসুস্থ থাকার কারণে বেতনের জন্য কল দিলে লম্পট মিজান বলে তোমার বেতন নিয়ে সন্ধ্যায় তোমার বাসায় আসব। বাসায় আসার কথা শুনে ঝুমুর বেগম কিছুটা সন্দেহ হয়, যে সে অসৎ উদ্দেশ্যে তার বাসায় আসতে চাচ্ছে। তাই লম্পট মিজান সন্ধ্যায় তার বাসায় গেলে সাথে সাথে ঝুমুর বেগম তার স্বামী ও সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে দ্রুত সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ভুক্তভোগী ঝুমুর বেগমের বাসায় গিয়ে লম্পট মিজানকে দেখতে পায়। সাংবাদিক শহিদুলকে দেখার সাথে সাথে লম্পট মিজান ধারালো কেচি দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। হামলায় শহিদুল গুরুতর জখম হলে স্থানীয়রা তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সাংবাদিক শহিদুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ঝুমুর বেগম বলেন, আমি বিগত ৪ বছর যাবত মিজানের দোকানে কাজ করি, সে খুব দুষ্ট চরিত্রের লোক। বেতন চাইতে গেলেই আমাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিত। আমি সেগুলো উপেক্ষা করে পেটের দায়ে এতদিন চাকরি করেছি, সেদিন অসুস্থতার কারণে দোকানে না গিয়ে আমি তার কাছে কল দিয়ে বেতন চাই, সে আমার বাসায় এসে আমি দোকানে কেন যায়নি বলে অকথ্য বাসায় গালিগালাজ করে এবং মারধর করে ও অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এতে বাধ্য হয়ে আমি আমার স্বামী ও সাংবাদিক শহিদুলকে ফোন দিয়ে জানাই। সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম দ্রুত আমার বাসায় এসে মিজানের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়ার সাথে সাথেই সাংবাদিক শহীদের উপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর যখম করে। আমি লম্পট মিজানের শাস্তি চাই।’ এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি সংবাদ প্রকাশের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে গেলে পূর্বের ক্ষোভের জেরে লম্পট মিজান আমার উপরে হামলা চালিয়ে আমাকে গুরুতর আহত করে। আমি লম্পট মিজানের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ঘটনাস্থলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লম্পট মিজান টেইলারিং ব্যবসার আড়ালে নারীকর্মীদের সাথে অবৈধ মেলামেশা, দোকানে বসে মাদক সেবন ও মাদক বিক্রির সাথেও জড়িত আছে। দোকানে বসে মাদক সেবনের একটি ভিডিও চিত্র এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।