১৮ বছর না হলে স্বামীর বাড়ি পাঠাবে না, পিতা-মাতার মুচলেকা

আল-আমিন | ১৮:১৭, জুন ০৪ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক :  ‘বরিশালে স্বামীর বাড়িতে না যাওয়ায় শিকলবন্দি স্কুলছাত্রী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়িতে ছুটে যান। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রী হামিমা ওরফে হাবিবার পিতা মো. জামাল হাওলাদার ও মাতা মারুফা বেগম স্থানীয় বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আসেন। মাদ্রাসাছাত্রীর পিতা ও মাতা লিখিত মুচলেকা দেন মেয়েকে আর মারধর করবেন না, হামিমার ১৮ বছর না হলে তাকে স্বামীর বাড়ি পাঠাবেন না এবং তাকে লেখাপড়া ও মাদ্রাসায় যেতে বাধা দেবেন না। মাদ্রাসাছাত্রী হামিমা লিখিত দেয়, সে লেখাপড়া করবে, ১৮ বছরের আগে কোনো বিয়ে করবে না। মাদ্রাসাছাত্রীর পিতা জামাল হাওলাদার ও মা মারুফা বেগম বলেন, আমরা মেয়েকে বাল্যবিয়ে দিয়ে ও শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে যে মারধর করেছি তা আমাদের ভুল হয়েছে। আজ আমরা আমদের ভুল বুঝতে পেরেছি। আমরা সমাজসেবা স্যারের কাছে লিখিত দিয়েছি। আমরা আর কোনো দিন এমন ভুল করব না। এ ব্যাপারে বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার উপস্থিতিতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে বসে সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে সবাই অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন- এ কথা সত্য। উল্লেখ্য, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের জামাল হাওলাদারের মেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৩) পিতা-মাতা ও দুলাভাই মিলে তিন মাস পূর্বে একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা গ্রামের শাহজাহান মোল্লার ছেলে সাজিদ মোল্লার কাছে বিয়ে দেন। ওই ছাত্রী পিতার বাড়ি চাঁদত্রিশিরায় বেড়াতে আসার পর সে আর স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে পিতা জামাল হাওলাদার ও মা মারুফা বেগম এবং দুলাভাই আলামিন মিলে লোহার শিকলে হাত-পা বেঁধে শনিবার রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে নির্যাতন চালান।