পায়রা এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বরিশালে প্রচারাভিযান

আল-আমিন | ১৮:০৯, জুন ০৪ ২০২৪ মিনিট

পটুয়াখালীতে পায়রা ১২০০ মেগাওয়াট এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণে সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বরিশালে প্রচারাভিযান হয়েছে। মঙ্গলবার ( ৪ জুন) দুপুরে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই কর্মসূচি করে পরিবেশকর্মীরা। বহুমুখী এ প্রচারাভিযান যৌথভাবে আয়োজন করেছে, প্রান্তজন, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডাব্লিউজিইডি)। এসময় এ পাওয়ার প্ল্যান্টকে ‘কার্বন বোমা’ দাবি করে তা নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানানো হয়। প্রান্তজন-এর নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা, পরিবেশ কর্মী আসিফ হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ বরকত, মুক্তি মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, পায়রা ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু হলে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ৯৫০ গ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করবে। এটি সম্পূর্ণভাবে চললে, বছরে ১৭৬৯৬৯.৫ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করবে, এর জীবদ্দশায় ৩৮৯৩,৩২৮.৮১ টন নির্গত করবে। জীবাশ্ম জ্বালানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে কার্বন নির্গমনের একটি প্রধান প্রভাবক। এর মাধ্যমে জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন ত্বরান্বিত হচ্ছে। যা বিশ্বব্যাপী সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে ফেলছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় অবিলম্বে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা। এছাড়া পাওয়ার প্ল্যান্টে গ্যাস সরবরাহের জন্য পায়রা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে বিদেশী একটি কোম্পানীর সঙ্গে ২০২৩ সালে চুক্তি করছে সরকার। এ টার্মিনালের সঙ্গে পেট্রোবাংলার ১৫ বছরের চুক্তির অধীনে ২০২৬-২০২৭ সালে ০.৮৫ এমটিপিএ এবং ২০২৮-২০৪০ সালে ১ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করবে। এসব আয়োজন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে আহ্বান জানানো হয়।