পাওনা টাকার জন্য ধর্ষণ, গৃহবধূর আত্মহত্যা, তদন্তের নির্দেশ
পাওনা টাকার জন্য গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ, বিষপানে ‘আত্মহত্যা’ শীর্ষক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসককে ঘটনা তদন্ত করতে ও পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, গত ৩১ মে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ওই খবর নজরে আসার পর আমলে নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করে।
স্বপ্রণোদিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় ধার নেওয়া ২০ হাজার টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় এক গৃহবধূকে দুই মাস ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করে বিচার না পেয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার স্বামী বিষপান করেন। এতে স্বামী বেঁচে গেলেও ওই গৃহবধূ মারা যান। ওই দম্পতির তিন বছরের একটি শিশুসন্তান রয়েছে।
রাজীবপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নে গত ২৪ মে ওই গৃহবধূ বিষপান করেন। দুটি হাসপাতাল ঘুরে পাঁচ দিন পর গত ২৯ মে দুপুরে বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে ২২ মে স্থানীয় এক সাংবাদিককে দেওয়া গৃহবধূর একটি অডিও রেকর্ডে পাওনা টাকার জন্য উপজেলা সদরের হলোপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়া, তার সহযোগী শুক্কুর ও সোলেমানের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। ২০ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের অডিওতে গৃহবধূ নির্যাতনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। অভিযুক্তরা পেশায় কসাইয়ের কাজ করেন। রাজীবপুর বাজারে তাদের মাংসের দোকান আছে।