ঘূর্ণিঝড় রিমালে বরিশাল অঞ্চলে ৫০৯ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি

আল-আমিন | ০০:১৬, মে ৩১ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদ : ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে শুধু উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলেই ৫০৮ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৯১ জন কৃষক। ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও অতিবৃষ্টিতে (২৬ ও ২৭ মে) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামগ্রিক কৃষির ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বরিশাল অঞ্চলের মতো অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে ৪৮টি জেলার কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে আক্রান্ত হয়েছে উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলা (বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা) এবং খুলনা অঞ্চলের ৪টি জেলা (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল), চট্টগ্রাম অঞ্চলের নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কক্সবাজার। এতে বলা হয়, বর্তমানে মাঠে দন্ডায়মান ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৫ হেক্টর এবং আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর। আউশ বীজতলা ১০ হাজার ৮৪৩ হেক্টর, ২১ হাজার ৪৩৪ হেক্টর আউশের জমি, বোরো ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির ধান, বোনা আমন ৪ হাজার ৮২৬ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন সবজি ৫২ হাজার ১৯০ হেক্টর, পাট ২৯ হাজার ৭৪৯ হেক্টর, তিল ৭ হাজার ৫৩৬ হেক্টর, মুগ ৩ হাজার ৫০৭ হেক্টর, মরিচ ২ হাজার ৪৪৪ হেক্টর দুর্যোগ কবলিত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পান ৭ হাজার ৫৮ হেক্টর দুর্যোগ কবলিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফলের মধ্যে আম ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর, লিচু এক হাজার ৫৭৫ হেক্টর, কলা ৭ হাজার ৬১৩ হেক্টরসহ মোট ১৭ হাজার ৫৪৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফল দুর্যোগকবলিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বরিশাল অঞ্চলের আউশ বীজতলা ৯ হাজার ১০১ হেক্টর, আউশ ১৭ হাজার ৯০ হেক্টর মুগ ২ হাজার ৪১৯ হেক্টর, শাকসবজি ১৭ হাজার ২৪৭ হেক্টর, পান ৩৪৭৩ হেক্টরসহ মোট ৫৪ হাজার ৫৬৪ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক আনুমানিক ক্ষতির মূল্য ৫০৮ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক প্রায় এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৯১ জন। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্যোগকবলিত হলেও দ্রুত পানি সরে গেলে অনেক ফসলের জন্য সেটা আর্শিবাদ হয়ে ধরা দেবে। যেমন বোনা আমন, আউশ, পাট ইত্যাদি। বোরো ধান কর্তন প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকায় এবং মাঠে কিছু ভুট্টা, চীনাবাদাম ছাড়া অন্য রবিশস্য না থাকায় কৃষি বিরাট ক্ষতির হাত হতে কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছে। আসন্ন আমনের জন্যও এ বৃষ্টি সুফল বয়ে আনবে। জমির চাষাবাদ উপযোগী অবস্থা বিশেষ করে খরা প্রবণ এলাকার জন্য বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। যা বিভিন্ন সবজি ও ফলফলাদির জন্য ভূমিকা পালন করবে। বৃষ্টি বন্ধ হলে এবং সাত আটদিন পর ক্ষতির মাত্রাটা প্রকৃতপক্ষে বোধগম্য হবে বলেও জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।