নেছারাবাদে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক : পিরোজপুরের নেছারাবাদে জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিষ বড়ালের নেতৃত্বে পরিতোষ মিস্ত্রী (৬২) নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে পশ্চিম জৌসার গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন ব্রিজের পশ্চিম পাশে এ নির্বাচনী সহিংসতা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে ভুক্তভোগী পরিতোষ মিস্ত্রী বাদী হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বড়াল (৫৮), মিল্টন মজুমদার (৪২), পার্থ বিশ্বাস (৩০) ফয়সাল সিকদার (২৮), মো. সাইফুলসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ফয়সাল সিকদার ও মো. সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে পিরোজপুর আদালতে পাঠিয়েছে।
নেছারাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম শাহীন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পরিতোষ মিস্ত্রীর সঙ্গে আশিষ বড়ালের শত্রুতা ছিল। এদিকে সদ্য শেষ হওয়া নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরিতোষ মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মুইদুল ইসলামের পক্ষে কাজ করেছেন।
অন্যদিকে আশিষ বড়াল আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হকের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে আব্দুল হক বিজয়ী হওয়ার পর বুধবার দুপুরে আশিষ কুমার বড়াল তাঁর দলবল নিয়ে পরিতোষের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে পরিতোষের মাথা জখম হয় এবং নাক ফেটে রক্তাক্ত হয়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ভুক্তভোগী পরিতোষ মিস্ত্রীর বলেন, ‘নির্বাচনে আব্দুল হক বিজয়ী হলে তাঁর সমর্থক আশিষ কুমার দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।’
মামলার ১ নম্বর আসামি আশিষ কুমার বড়াল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পরিতোষ নির্বাচনের সময় বলেছে, মোটরসাইকেল নির্বাচিত হলে আমাকে দেখিয়ে দেবে। নির্বাচনের পরদিন তাকে ধরে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। এ সময় তার সঙ্গে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বাকি সব মিথ্যা।’
নেছারাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম শাহীন বলেন, নির্বাচন ও বাদীর সঙ্গে আসামিদের পূর্বশত্রুতার বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা হয়েছে। পরিতোষ মিস্ত্রী বাদী হয়ে বুধবার রাতে ৯ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে পিরোজপুর আদালতে পাঠিয়েছে।