বরিশালে অপরিপক্ক ফলে প্রতারিত ক্রেতা

আল-আমিন | ২১:৪৩, মে ২২ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের বাজারে অপরিপক্ব আম, কাঁঠাল, লিচুসহ অন্যান্য মৌসুমি ফল উচ্চমূল্যে কিনে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। বিভিন্ন মেডিসিন দিয়ে কৃত্রিমভাবে বিক্রি উপযোগী করা এসব ফল বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও প্রবীণসহ সব বয়সীরা। তাই অবিলম্বে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি উঠেছে সচেতন মহলে। পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, নগরীর পোর্টরোডের অধিকাংশ আড়তে ওঠা মৌসুমি ফল অপরিপক্ক। এসব ফল বিভিন্ন উপায়ে বিক্রি উপযোগী করে তা খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরিপক্ব ফলগুলো খুচরা বিক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন। যা নগরীর পোর্টরোড, লঞ্চঘাট, নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাসটার্মিনাল, সদর রোড, ফলপট্টি, গীর্জামহল্লার দোকানসহ পুরো নগরীর জুড়ে ভ্রাম্যমাণ খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছে। এসব দোকানে একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩শ থেকে সাড়ে ৪শ টাকায়। গোপালভোগ আম খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে। হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। এছাড়া সাইজ অনুসারে কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। এসব ফলের প্রায় শতভাগই অপরিপক্ব বলে দাবি ক্রেতাদের। নগরীর কাউনিয়ার বাসিন্দা আসিফ বলেন, শখে তিন কেজি অপরিপক্ব আম ও একটি কাঁঠাল কিনে প্রতারিত হয়েছি। আম-কাঁঠালে কোন স্বাধ পাইনি। কারণ এসব ফল কৃত্রিমভাবে পাঁকানো হয়েছে। এসব ফল খেয়ে শিশু-প্রবীণসহ সব বয়সীরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। নগরীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা সুজয় শুভ জানান, কিনতে গিয়ে একটি লিচু খেয়ে অনুভব করতে পারি ফলে স্বাধ নেই। তাই লিচু কিনবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লিচু অপরিপক্ব অবস্থায় বাজারে বিক্রি করায় স্বাধ মিলছে না। নতুনবাজারের খুচরা ফল বিক্রেতা মিন্টু বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হয়েছে, তাই ফল পেঁকেছে। তার দোকানে কোন অপরিপক্ব ফল নেই বলে জানান তিনি। বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এ ফল অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অপরিপক্ব ফলগুলো বাগান থেকে তুলে মেডিসিন দিয়ে সংরক্ষণ শেষে কৃত্রিম পদ্ধতিতে পাঁকানো হয়। এ ফল খেলে শিশুদের কিডনি, লিভারের সমস্যাসহ মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলে প্রবীণসহ সব বয়সীদের জন্যই এসব ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। তাই অবিলম্বে এসব ফল বাজার থেকে তুলে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বরিশাল জেলার সহকারী পরিচালক সুমি রাণী মিত্র বলেন, সাতক্ষিরা থেকে কিছু পাকা আম আসছে। আমাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলছে। এখনই তাড়াহুড়ো না করে কিছুদিন পর সচেতনভাবে ফল ক্রয়ের আহ্বান জানান তিনি।