বরিশালে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকের নিয়ে পালাতে গিয়ে পুলিশের খাঁচায় শিক্ষক : অতঃপর

কামরুন নাহার | ০৪:২২, নভেম্বর ২৩ ২০১৯ মিনিট

বরিশালের উজিরপুরের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে নিয়ে পালাতে গিয়ে পুলিশের খাঁচায় এক শিক্ষক। অপর দিকে স্নাতকোত্তর পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী স্বামীর দাবীতে ঐ বাড়িতে গিয়ে অনশন করছে। এ ব্যাপারে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালবিলা গ্রামের সাতলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রজেন্দ্র নাথ মল্লিকের ছেলে শোলক কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তপন মল্লিক(৩১) ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার কালবিলা গ্রামের নিখিল হালদারের মেয়ে রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রিয়াংকা হালদার পপি স্কুল থেকে ফেরার পথে ঐ লম্পট তপন মল্লিক তাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঐ দিন সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় তাদের গতিবিধি সন্ধেহ হলে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এদিকে একই দিনে উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের পীরেরপাড় গ্রামের বিধান সমদ্দারের মেয়ে স্নাতকোত্তর পড়ুয়া শিক্ষার্থী যুথিকা সমদ্দার কালবিলা গ্রামে তপন মল্লিকের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর দাবীতে অনশন করে। তবে যুথিকার পরিবার জানায়, চলতি বছরের ২ মার্চ বরিশাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উভয় পক্ষের বাবার উপস্থিতিতে ১০ লক্ষ টাকা দেন মোহরে বিবাহ হয়। কিছুদিন পর্যন্ত তপন মল্লিক যোগাযোগ না রাখায় বাড়িতে আসতে বাধ্য হয়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, লম্পট তপন মল্লিক ২০১৭ সালে ভরতসেন এলাকার এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে হাজত বাস করে। এর পরে হারতা এলাকার শুকলাল হালদারের মেয়েকে হিন্দু ধর্মীয় রীতিতে বিবাহ করে কিছুদিন যেতে না যেতেই তাকে তাড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে লম্পট তপন মল্লিকের পিতা ব্রজেন্দ্র নাথ মল্লিক জানান, আমার ছেলে ৭ম শ্রেণির ঐ শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটু ঘুরতে গিয়েছিল।এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, তপন মল্লিক ও প্রিয়াংকা হালদার পপি নামে এক যুগলকে স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় অবরুদ্ধ করে পুলিশে সোপর্দ করে। বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, শুক্রবার রাতে প্রিয়াংকা হালদার পপির পিতা একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। আসামীদের টুঙ্গিপাড়া থানা থেকে আনার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।