গৌরনদীতে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম

আল-আমিন | ১৭:১২, মে ১৪ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় গত রোববার রাতে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এস.এম হীরাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আহত ওই ছাত্রদল নেতা প্রাণ ভয়ে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা এস.এম হীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘হামলা মামলার ভয়ে আমি দীর্ঘ দিন যাবত গৌরনদীতে থাকি না। সম্প্রতি সময়ে গৌরনদীর টরকীর নিজ বাড়ি আসি। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের বিলাশ শীলের সেলুনে সেইভ করতে যাই। এ সময় গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ইমন ফকির (২৪) ও ইয়ামিন ফকিরের (২৫) নেতৃত্বে চার থেকে পাঁচজন নেতাকর্মী আমাকে সেলুন থেকে ডেকে বাহিরে এনে সালাম হাওলাদারের বাড়ির গলির মধ্যে নিয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় দু’টি আঘাত করে রক্তাক্ত করে এবং চড় থাপ্পড় দিয়ে আমাকে দৌড়ে পালাতে বলে। আমি প্রাণ রক্ষায় ওদের কথা মতো দৌড়ে পালাতে গেলে তিন থেকে চারজন সন্ত্রাসী সিনেমার ভিলেন ষ্টাইলে মোটরসাইকেল নিয়ে আমাকে ধাওয়া করে। আমি দৌড়ে টরকী মিতালী ষ্টোরের কাছে পৌঁছলে তারা পুনরায় লোহার রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে আমাকে ফেলে যায়। তিনি আরো বলেন, রাত ১১টার দিকে পথচারীরা আমাকে দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেন। স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাকে উদ্ধার করে এবং গোপনে চিকিৎসা দেন। অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য ছাত্রলীগ নেতা ইমন ফকির ও ইয়ামিন ফকিরকে কল দিলে তারা কল ধরেননি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: জোবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভূইয়ার কাছে জানতে কল দিলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মো: মাজাহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো: লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত ইমন ফকির ও ইয়ামিন ফকির আমার ছাত্রলীগের কমিটির কেউ না।’ আর ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি অবহিত না।’