বরিশালের গৌরনদীতে আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে এই সংঘর্ষে আরও চারজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম সৈকত গুহ। তিনি মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন মিয়া বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহসহ ১০-১৫ জন সমর্থক নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের এক কর্মীর জানাজায় যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর পর কিছু সমর্থকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছিলেন। এ সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার সেখানে উপস্থিত হন। দেলোয়ার উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। সেখানে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মনির হোসেন মিয়া অভিযোগ করেন সাংবাদিকদের বলেন, একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা দেলোয়ারের সমর্থকেরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ, সমর্থক পলাশ হোসেন (২৭) এবং মামুন খানকে (৩২) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের সমর্থক ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কালু তালুকদার। পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ দেলোয়ার হোসেনকে লক্ষ্য করে পিস্তল দিয়ে গুলি করেন। এতে দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ মাহমুদ আহত হন।
তবে সেখানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি কিংবা স্থানীয় লোকজন গুলির কোনো শব্দ পাননি বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন মিয়া ও মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ সমর্থকদের নিয়ে একটি জানাজায় যাওয়ার পথে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে ছবি তোলা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৈকত গুহসহ তিনজন আহত হন। গুরুতর আহত সৈকত গুহ এবং দেলোয়ার হোসেনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’