বরিশালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাতেও উড়ছে জাতীয় পতাকা!

আল-আমিন | ১৬:৪৩, এপ্রিল ৩০ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও নিয়ম ভঙ্গ করতে দেখা গেছে সদর উপজেলার এক দাখিল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে। রাতে মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা ওড়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে, চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন দাখিল মাদ্রাসার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। স্থানীয় মো. আমিন হোসেন বলেন, চন্দ্রমোহন দাখিল মাদ্রাসার মাঠে রাত ১০:৩০ টার সময় প্রবেশ করি। এসময় দেখি জাতীয় পতাকা উড়ছে। আমরা বিষয়টি প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা স্যারকে জানাই। তার কিছুক্ষণ পড়ে নাইটগার্ড এসে জাতীয় পতাকা নামিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় দোকানদার আঃ রহমান বলেন, ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে আমরা লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা পেয়েছি। এ পতাকার অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। মাদ্রাসা চলাকালে রাতের বেলা জাতীয় পতাকা উড়ছে এটা কর্তৃপক্ষের অবহেলা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চন্দ্রমোহন এলাকার ‍এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলেন, জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। শিক্ষকরা যদি জাতীয় পতাকার সম্মান নষ্ট করেন, তাহলে তাদের কাছ থেকে আমরা নতুন প্রজন্ম কী শিখব? দেশবিরোধী একটি চক্র সবসময় আমাদের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা অবমাননা করায় লিপ্ত রয়েছে। যে মাদ্রাসায় যারা নির্দিষ্ট সময়ে পতাকা না নামিয়ে রাতের আঁধারে উত্তোলিত রেখেছেন তারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা তদন্ত করে বের করা উচিত। এ বিষয়ে চন্দ্রমোহন দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে শুনে নাইটগার্ড দিয়ে জাতীয় পতাকা নামিয়ে নিয়েছি। তবে মাদ্রাসার পরিচ্ছন্ন কর্মী আবুল কাসেম হাওলাদার জাতীয় পতাকা টানিয়েছে। কিন্তু ভুলবশত আর জাতীয় পতাকা নামানো হয়নি। আবুল কাসেম আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। এধরণের ভুল আর কখনো হবে না। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন,সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়ানোর নিয়ম রয়েছে। রাতে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা ওড়ার বিষয়টি অবমাননার সামিল। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আইন ভঙ্গ করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি, যদি এধরণের কোনো ঘটনা ঘটে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।