পিরোজপুরে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি, ৫৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ২০ হাজার গ্রাহক
নিজস্ব প্রতিবেদক : পিরোজপুরে ঝড়ে সদর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলায় ৫৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন প্রায় ২০ হাজারের বেশি পরিবার। আজ মঙ্গলবার ঝড়ের পর ৫৪ ঘণ্টা অতিক্রম করলেও কাউখালী, ইন্দুরকানি ও পিরোজপুর সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা–ডুমুরিতলা ইউনিয়ন ও শঙ্করপাশা ইউনয়নে ৫ হাজার গ্রাহক, ইন্দুরকানি উপজেলায় ৮ হাজার গ্রাহক, কাউখালী উপজেলায় ৭ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পবিত্র রমজানে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন গ্রাহকেরা।
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি খুঁটি ভেঙে পড়েছে, ৫৩টি ক্রসআর্ম ভেঙে গেছে, ৬৮টি ইনসুলেটর, ২১০টি মিটার ও ১৫টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৮৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কতো সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ ঝড়ে গাছ পড়ে শতাধিক বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা প্রায় ৫৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। পানির পাম্প চালাতে না পারায় রমজানে অজু গোসল পর্যন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ইন্টারনেট সেবাও নেই।
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবু উমাম মো. মাহবুবুল হক বলেন, ঝড়ে পিরোজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ক্রসআর্ম, ইনসুলেটর, মিটার ও ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে। তবে কত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া সম্ভব তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাধুবী রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি। তবে আমাদের সবগুলো ডিপার্টমেন্ট একযোগে কাজ করছে। আশা করি সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল হবে।’