তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেহেন্দিগঞ্জে যুবক খুন

কামরুন নাহার | ১৬:০২, এপ্রিল ২৬ ২০২০ মিনিট

মেহেন্দীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মেহেন্দীগঞ্জ বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় ক্ষেতের পাট গরুতে খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত মাদরাসা ছাত্র সৌরভ খা’র (১৫) মৃত্যু ঘটেছে। তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। রোববার প্রত্যুষে উপজেলার কাজিরহাট থানাধীন বিদ্যানন্দপুর ইউনয়নের পশ্চিম রত্নপুর গ্রামে তার মৃত্যু হয়। জানা গেছে, গত শুক্রবার গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে সৌরভ খা’কে আহত করা হয়েছিল। করোনা সংকটের কারনে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে না পারায় বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। নিহত সৌরভের বাবা মনির খাঁ জানান, একই গ্রামের আফজাল সিকদার, কালু সিকদার, জামাল সিকদার, মজিবর হাওলাদার ও ইউপি সদস্য রুমি সিকদারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার ক্ষেতের পাট গরুতে খাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই প্রতিপক্ষরা তার পুত্রকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। একই ঘটনায় মফছের সিকদার (৫৫), আফছার সিকদার (৬০), সুজন সিকদার(২২), সরিমা বেগম(৩৫), সজিব সিকদার জলিল সিকদার আহত হন। আহতদের পার্শবর্তী মুলাদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহত সৌরভকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সৌরভকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এ অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়। সৌরভের মামা আরিফ সিকদার বলেন, ইউপি সদস্য রুমি সিকদার এ হামলায় নেৃতত্ব দিয়েছেন। সংঘর্ষের পরদিনও সে লোকজন নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়েছে। বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জলিল মিয়া বলেন, শুক্রবার ক্ষেতের পাট খাওয়া নিয়ে প্রথমে ঝগড়া ও পরে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। কালু সিকদার, আফজাল সিকদারসহ কয়েকজন সৌরভসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের পার্শ্ববর্তী মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। রোববার প্রত্যুষে সৌরভের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কাজিরহাট থানার ওসি (তদন্ত) আ: খালেক বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় মাদ্রাসা ছাত্র সৌরভের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ওই ঘটনায় শনিবার নিহতের মামা জলিল সিকদার বাদী হয়ে ১১জনকে আসামী করে মারামারির মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলাটিই হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হবে। তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।