জীবিত ঘুঘুর চোখ সেলাই করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার

আল-আমিন | ২০:৩১, এপ্রিল ০৪ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : চিকন সুতা দিয়ে সেলাই করে দেওয়া হয় ছোট্ট দুটি চোখ। এর ওপর আঠা দিয়ে একেবারে আটকে দেওয়া হয় চোখের পাতা। এভাবেই ঘুঘু পাখির দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর ঘুঘুটিকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে জাল দিয়ে একটি ফাঁদ তৈরি করে সেটি রেখে দেওয়া হয় কোনো বনে বা খোলা জায়গায়। এভাবেই শিকার করা হয় ঘুঘুসহ অন্যান্য পাখি। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের একটি মাঠে এভাবেই ঘুঘু ধরার ফাঁদ পেতেছিল একটি শিকারি চক্র। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ঘুঘু পাখি দুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে শিকারিরা পালিয়ে যায়। শরণখোলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাই কিছু শিকারি ঘুঘু দুই চোখ সেলাই করে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করছে। স্থানীয় কয়েকজন তরুণকে নিয়ে আমাদের সদস্য শাহীন হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারি চক্রটি ঘুঘু দুইটিকে রেখে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, মূলত গ্রামের মাঠে ওই দুটি ঘুঘু পাখিকে আটকে রাখা হয়েছিল অন্য পাখি শিকারের জন্য। ফাঁদে ঘুঘু দুটিকে ডাকতে শুনে অন্য ঘুঘুরা ঢুকে পড়লে আটকা পড়তো। বাস বা লম্বা লাঠি মাথায় বেঁধেও এভাবে পাখি দিয়ে পাখি ধরা হয়। আমরা পাখি দুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেছি। বিষয়টি বনবিভাগকেও অবগত করা হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ভিটিআরটি দলসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা স্থানীয়ভাবে কাজ করা ব্যক্তিরা এ ধরনের বিষয়ে আমাদেরকে জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। আমি এটা শুনছি। এ বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখব।