অর্থাভাবে বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মাণে বিলম্ব

আল-আমিন | ১৫:৩৪, এপ্রিল ০৪ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বীপ জেলা ভোলাকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দিতে ১০ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা করা হয়েছে। বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মাণে প্রয়োজন ১৭ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। সমীক্ষায় ২০২৬ সালে নির্মাণকাজ শুরুর কথা বলা হলেও প্রকল্পটির অর্থায়ন নিশ্চিত নয়। ২০২০ সালেও সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা জরিপ হয়েছিল। অর্থাভাবে সেতু নির্মাণে দেরি কিংবা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হলে সমীক্ষার খরচ যাবে জলে। ৩৭১ কোটি ৯০ লাখ টাকা মাস্টারপ্ল্যান করছে সেতু বিভাগ। এ প্রকল্পের আওতায় বরিশাল-ভোলা সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা করা হচ্ছে। সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন সমকালকে বলেন, মহাপরিকল্পনার আওতায় সমীক্ষার কাজ এখনও চলছে। তাই অর্থায়নের বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। মহাপরিকল্পনা সম্পন্ন হওয়ার পর দেখা হবে কোন প্রকল্পটি অগ্রাধিকার পাবে। অতীতে সেতু বিভাগ কয়েকটি বড় অবকাঠামো নির্মাণে সমীক্ষা করলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চললেও আলাদা পাতাল রেল (সাবওয়ে) নির্মাণে ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে সমীক্ষা করেছিল সেতু বিভাগ। প্রায় ৯ লাখ কোটি টাকা প্রয়োজন সাবওয়ে নির্মাণে। মেট্রোরেলের নির্মাণ চলমান থাকা অবস্থায় বিপুল ব্যয়ে সাবওয়ে নির্মাণের সমীক্ষা করা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রকল্পের টাকা জলে গেছে বলে অবকাঠামো বিশেষজ্ঞরা বলছেন। বরিশাল-ভোলা সেতুর সমীক্ষায় একই পরিণতির শঙ্কা রয়েছে কিনা– প্রশ্নে সচিব বলেন, মহাপরিকল্পনা তো ২০৫০ সাল মাথায় রেখে করা হচ্ছে। যেসব প্রকল্প প্রমেজিং, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। সমীক্ষার পর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে অর্থায়ন খোঁজা হবে। সাবওয়ের সমীক্ষা করেছিল যে ভারতীয় পরামর্শক, সেই টিপসার নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম নতুন সমীক্ষা করেছে। আগের সমীক্ষা পর্যালোচনা করেছে। গত মাসে সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান তেঁতুলিয়া এবং কালাবদর নদীর ওপর দিয়ে সেতু নির্মাণে তিনটি বিকল্প অ্যালাইনমেন্ট করেছে। বরিশাল-ভোলা পথে সেতু নির্মাণে পরামর্শ দিয়েছে।