পুলিশ পেটানো শামীমের মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বিরুদ্ধাচারণ, জোরালো হচ্ছে প্রতিবাদ

আল-আমিন | ১২:৫০, মার্চ ২৯ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর দক্ষিণ রুপাতলীর সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুল মন্নান খান বাদশা মিয়ার বাসার সম্মুখে নামকরণে নির্মিত স্মৃতি ফলক নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছেই। প্রথমে হুমকি-ধামকি এবং পরবর্তীতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবহার করে গেটটি ভাঙা বা অপসারণে সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবিরোধী অংশটি কৌশলী পথে হাটতে শুরু করেছে। সরকারি সড়কে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গেট নির্মাণ করে আটকে রেখেছে এমন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছে। বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় শামীম খান নামের এক যুবক, যিনি কী না ব্যাংক ডাকাতি এবং পুলিশ পেটানোসহ একাধিক মামলার আসামী। একজন চিহ্নিত অপরাধীর স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবারের প্রতি বিরুদ্ধাচারণকে সমাজের অধঃপতন হিসেবে দেখছে মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি। জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবিরোধী ওই সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রশিদ আকন, শেখ মো. সালাম, হাবিল খান, হাবিব খান, সোহরাব খান এবং তার ছেলে সাদ্দাম অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় রশিদ আকন নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করলেও তার মর্যাদা নিয়ে ঢের বিতর্ক রয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগ এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই রশিদ আকনের সরকারি ভাতা আপাতত বন্ধ আছে, যা তিনি নিজেও স্বীকার করেন। বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, এই চক্রটি শুধু মুক্তিযোদ্ধার নিজের ভূমিতে থাকা নামফলকটি ভাঙতে চাইছে না, এমনকি বীর সন্তানের বাসার ভেতর থেকে তাদের সুবিধার্থে একটি সড়কও করে নিতে চাইছেন। অভিযোগ আছে, তাদের এই মিশন বাস্তবায়ন করা গেলে শেখ সালামসহ সকলের ভূমির মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। এবং পরবর্তীতে তারা অতিরিক্ত দামে ভূসম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন। মূলত এই ধান্দায়ই গ্রুপটি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, দেখাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি ফলক ভাঙার মত ধৃষ্টতা। উল্লেখ্য, এই গ্রুপটি কিছুদিন পূর্বে অনুরুপ অভিযোগ করেছিল বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে, যা সার্ভেয়ার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা তদন্ত করলেও মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির ওপর দিতে চলাচলের কোনো পথের অস্থিত্ব পাননি। তবে তিনি প্রতিবেদনে প্লান বহির্ভুতভাবে মুক্তিযোদ্ধার নামকরণে গেট নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। বরিশালের এই ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি জাফর ইকবাল নান্টু বলেন, পুরো বিষয়টি তাদের পর্যবেক্ষণে আছে। এবং এনিয়ে তাদের সংগঠন প্রতিবাদও জানিয়েছে। কিন্তু ভূমিদস্যুরা উল্টো পথেই হাঁটছে। সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণসহ জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই শীর্ষ নেতা।’