বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ১১ লিফটের ৯টিই অচল, ভোগান্তি চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১টি লিফটের ৯টিই অচল। দুইটি লিফট দিয়ে রোগীসহ দর্শনার্থীরা চলাচল করে। তাও আবার একটি মাঝেমধ্যে আটকে যায়। হাসপাতালটিতে প্রবেশের পর থেকে নানা ভোগান্তিতে পড়ে রোগীসহ স্বজনরা। গণপূর্ত বিভাগের দোহাই দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জনভোগান্তির কথা স্বীকার করলেও গণপূর্ত বিভাগ বলছে ভিন্ন কথা।
ইমারজেন্সি গেটের সামনের অংশে দুটি লিফট থাকলেও সচল রয়েছে একটি এবং প্রধান ফটকের মাঝের অংশে ছয়টি লিফ থাকলেও রোগী বহনকারী লিফট রয়েছে একটি। তাও মাঝে মধ্যে আটকে পড়ে। এখানে ১৯৬৮ সালের দুটি লিফটের একটি সচল রয়েছে। যাও নড়বড়ে অবস্থা। এতে ডাক্তার, স্টাফরা চলাচল করে। বাকি লিফটগুলোর অবস্থা বেহাল।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. এ এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ভবন এবং লিফটগুলো অনেক পুরনো হাওয়ায় বেশি ভাগই অচল। তবে লিফটগুলোর দায়িত্ব গণপূর্ত বিভাগের হাওয়ায় পত্র প্রেরণ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। তিনি জন ভোগান্তির কথা স্বীকার করলেও নিরুপায়।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে লিফটগুলো অচল থাকার কথা স্বীকার করে, শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের এই নির্বাহী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল আলম। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫৬ বছর আগে ১৯৬৮ সালে নির্মাণ করা হয় ৫শ শয্যার বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতাল। ২০০৬ সালে হাসপাতালটি ১০০০ শয্যায় উন্নতি করা হয়েছে। এরপর থেকে প্রতিদিনই এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকছেন প্রায় তিনগুণ রোগী।