বরিশাল-খুলনা-লক্ষ্মীপুর ৬ লেনের মহাসড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে পূর্ব অংশের সাথে সংযুক্ত করতে একটি পরিকল্পনা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে আঞ্চলিক মহাসড়কগুলিকে একটি ছয় লেনের জাতীয় মহাসড়কে রূপান্তর করা হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ দীর্ঘতম-সংযোগ নেটওয়ার্কের পরিকল্পনা করেছে। তারা বলেছে, এর প্রধান লক্ষ্য মেঘনা নদীর উপর দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে খুলনা ও বরিশাল বিভাগকে পূর্ব অংশের সাথে সংযুক্ত করা।
এ প্রস্তাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে যোগাযোগের সুবিধার্থে খুলনা-বাগেরহাট-ঝালকাঠি-বরিশাল এবং বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের প্রায় ১৩১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ককে ছয় লেনের জাতীয় মহাসড়কে (এনএইচ) উন্নীত করার বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা।
এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু মেঘনা নদী খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে সংযোগ স্থাপনের অন্যতম বাধা, তাই তারা সংক্ষিপ্ত ও মসৃণ যোগাযোগের জন্য সড়কটি নির্মাণের প্রস্তাব করেছেন।
এনএইচ স্ট্যাটাসে রূপান্তরের জন্য পরিকল্পনা কমিশন থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরে রাস্তাগুলিকে একত্রিত করা হবে এবং ছয় লেনের ব্রডওয়েতে আপগ্রেড করা হবে। প্রস্তাবিত এনএইচ -এর দুটি অংশ রয়েছে : খুলনা-বরিশাল এবং বরিশাল-লক্ষ্মীপুর। এই দুটি অংশকে একটি জাতীয় মহাসড়কে একীভূত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, তিনি যোগ করেন।
বর্তমানে, বাংলাদেশে আটটি মহাসড়ক এনএইচ রয়েছে, যা বিভিন্ন বিভাগীয় শহরকে রাজধানী ঢাকার সাথে সংযুক্ত করেছে। এনএইচ ১ চট্টগ্রাম শহরকে রাজধানী ঢাকার সাথে, এনএইচ ২ কে বিভাগীয় শহর সিলেটের সাথে এবং সীমান্তবর্তী তামাবিলের সাথে, এনএইচ ৩ কে ময়মনসিংহ শহরের সাথে, এনএইচ ৪ কে জামালপুর জেলা শহরের সাথে, এনএইচ ৫ কে রংপুর বিভাগের সাথে, এনএইচ ৬ কে রাজশাহীর সাথে, এনএইচ ৭ কে খুলনার সাথে এবং এনএইচ ৮ কে সংযুক্ত করেছে বরিশালের সাথে।
মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-বাগেরহাট-ঝালকাঠি-বরিশাল এবং বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ককে প্রস্তাবিত ৬ লেন জাতীয় মহাসড়কে প্রশস্ত করা গেলে যাতায়াতের সময় কমবে। এছাড়া খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের যাত্রী ও মালবাহী কম সময়ে ও খরচে সহজে পরিবহন করা হবে।
বর্তমানে এ রুটে ফেরি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হচ্ছে যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “দুটি সেতু থাকলেও, শক্তিশালী মেঘনা নদী সংযোগের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তবে ভবিষ্যতে নদীতে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’