ভোলায় ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

কামরুন নাহার | ১৯:৩৪, মার্চ ১২ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার দৌলতখানে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসিফ নামের এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ছয়জন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় দুজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আসিফ চর খলিফা ইউনিয়নের দিদারউল্যাহ গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি বাংলা বাজার কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যার পর উপজেলার কদমতলা এলাকায় এক তরুণীকে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে তার ভাই (তরুণীর ভাই) কবির ও আহাদের সাথে নিহত আসিফের বন্ধু রাসেল ও আমজাদের মধ্যে মারামারি হয়। খবর পেয়ে রাসেলের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আসিফও ঘটনাস্থলে আসে। দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কবির ও তার সহযোগিরা আসিফকে কুপিয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও কবির গ্রুপের হামলায় রাসেল, আমজাদ, দুলাল, বাবু ও মিরাজসহ ৬ জন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতখান হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক তাদের ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নাইমুল হাসনাত জানান, হাসপাতাল আনার আগেই আসিফের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাসেল ও দুলালকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনরা জানান, সন্ধ্যায় সুস্থ অবস্থায় ঘর থেকে বের হয় আসিফ। পরে এক ঘণ্টার ব্যবধানে হাসপাতালে লাশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। এ বিষয়ে দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সত্তরঞ্জন খাসকেল বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে উক্ত মামলার ভিত্তিতে আহাদসহ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।