মুলাদির শহিদ খান, মামলাই যেনো তার নেশা-পেশা

আল-আমিন | ১৪:৩০, মার্চ ০৪ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশাল জেলার মুলাদি উপজেলার ২নং ওয়ার্ড মধ্য গাছুয়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে এ এম আমানউল্লাহ শহিদ খান(৫৫)। শিক্ষা-দীক্ষা ধন সম্পদে সয়ংসম্পূর্ণ থাকলেও মামলাই যেনো তার নেশা পেশা। যুগের পর যুগ অর্ধ শতাধিক মানুষের নামে ৪০/৫০টি মামলা দিয়ে করেছে হয়রানি। বাদ যায়নি ভাইবোন আত্মীয় স্বজনরাও। বয়স বাড়লেও যায়নি তার স্বভাবচরিত্র। নিরীহ মানুষদের হয়রানি করাটাই তার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে নির্দিষ্ট কয়েকজন সহযোগী সদস্য রয়েছে তার সাথে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো শহীদ খান এযাবতকাল যতগুলো মামলা দিয়েছেন, সকল মামলার স্বাক্ষী নির্দিষ্ট ঐকজন ব্যক্তি। মামলাবাজ শহীদ খান জাল-দলিল করে জমি দখল করেন ২০০৬ সালে। সে কারনে সরকার বাদী মামলা হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে। মামলার ফেরারি আসামী হওয়ায় হয়েছিলেন প্রবাসী। প্রায় একযুগ গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকার পর গ্রামে ফিরে আবারও স্বরুপে শহিদ খান। একাধিক ভুক্তভোগী জানান, ২০০৬ সালে শহিদ খানের নামে সরকার বাদী মামলা হওয়ার পর থেকে উধাও হয়েছিলেন । ২০২২ সাল থেকে আবারও মুলাদি উপজেলায় এসে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা দিয়ে করে যাচ্ছেন হয়রানি। এর আগে গ্রামে থাকাকালীন সময়ে ঠুনকো বিষয়ে নানান অভিযোগ এনে অর্ধশতাধিক মানুষের নামে মামলা দিয়ে করেছেন হয়রানী। মামলার ভুক্তভোগী একই গ্রামের মাসুদ খান, নুরুল ইসলাম খান, আল-আমীন খান, আলতাফ গোমস্তা, আনোয়ার ফরাজী, জসিম আকন, সুলতান মহিউদ্দিন, হেলেনা সাহজাদি,সেকান্দর মাস্টার,কালু বেপারী,মালেক শরিয়ত, মান্নান মোতালেব,আ: জলিল সরদার সহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। সর্বশেষ ৩মার্চ ২০২৪ রবিবার শহিদ খান চাঁদাবাজির একটি অভিযোগ ৯ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জন নামে মামলা দায়ের করেন। তারা হলেন, সুলতান মহিউদ্দিন সাইফুল্লাহ, নজরুল ইসলাম খান, রিয়াজ আলম,শাহিন খান মাসুদ খান,আব্দুস সোবাহান, মানিক খান, তাজিন খানসহ ৪০জন। ভুক্তভোগীদের তথ্য মতে শহিদ খান এপর্যন্ত এতগুলো মানুষের নামে প্রায় ৪০থেকে ৫০টি মামলা করেছে। যার বেশিরভাগ মামলাই নির্দিষ্ট কয়েকজন স্বাক্ষী। তারা হলেন, একই এলাকার মৃত হাবিব ফরাজীর ছেলে কুদ্দুস ফরাজী, মৃত মানিক সরদারের ছেলে হেলান সরদার, মৃত লতিফ আকনের ছেলে মোবারক হোসেন আকন, মাওলানা মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে মহসিন সরদার, মৃত ইদ্রিস রহমানের ছেলে সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন। অভিযোগ রয়েছে এই নির্দিষ্ট কয়েকজন শহিদ খানের সহযোগী মামলার আসামিদের বিভিন্নভাবে চাপপ্রয়োগ করে অর্থের বিনিময়ে মামলার সমঝোতা করে। তবে এসকল বিষয়ে শহিদ খান কেনো সঠিক জবাব না দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন তিনি। মুলাদির গাছুয়া গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগীদের দাবী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই মামলাবাজ শহীদ খানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে হয়রানি থেকে মুক্ত পাবে গ্রামবাসী।