চরমোনাইতে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা স্থানীয়রা

কামরুন নাহার | ১৮:৩৮, এপ্রিল ২৩ ২০২০ মিনিট

অনলাইন ডেস্ক: বরিশাল সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চরমোনাইতে আধুনিকতার প্রায় সকল ছোঁয়া লাগলেও সর্বনাশা নদী ভাঙ্গন যেন এই এলাকার মানুষের একমাত্র হতাশার কারণ। চরমোনাই দরবার শরীফ সংলগ্ন কীর্তনখোলার ভয়াবহ নদী ভাঙন থামছে না যেন কোনো কিছুতেই। ক্রমশয়ই ছোট হয়ে আসছে এ এলাকার মানচিত্র। ঘরবাড়ি, জায়গা-জমি এমনকি বাব-দাদার পৈত্রিক ভিটামাটি টুকুও হারাচ্ছেন এই এলাকার বাসিন্দরা। আর বর্তমানে এ নদীকূলবাসী যারা আছেন তারাও দিন কাটাচ্ছেন আশঙ্কার মধ্যে। বেশ কয়েক মাস আগে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম নিজেও এসব এলাকার নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করে আশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্ত অভিযোগ রয়েছে, পরবর্তিতে যাদেরকে ব্যবস্থা গ্রহণ, যায়গা পরিদর্শন ও তদারকির জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো তারা তৎকালীন সময় প্রতিমন্ত্রীর কাছে যেখানে আগে বেশী প্রয়োজন সেখানের কথা উল্যেখ না করার কারনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় কিছুই হয়নি। পরবর্তীতে নামে মাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিলো ভাঙ্গনকবলিত স্থানের অনেকটা অদূরে। সেখানে যথাযথ ও প্রয়োজনের চেয়ে কম হওয়ায় সেটাও কয়েক মাসের মাথায় নদীতে বিলিন প্রায়। উল্যেখিত ভাঙ্গনের স্থানে যথাযথ জিও ব্যাগ ফেলার অশ্বাস দিলেও অল্পসংখ্যক ব্যাগ পৌঁছানো ছাড়া এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে। ফলে ইতিমধ্যেই নদী সংলগ্ন রাস্তা, বাধ ও ফসলী জমি ভাঙ্গছে অস্বাভাবিক হারে। এখনি এ ভাঙ্গন প্রতিরোধ না করলে ভবিষ্যতে অবস্থা হবে আরও ভয়াবহ হবে বলে মনে করেন এলাকার বাসিন্দারা। এই এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ঠু বলেন, যেভাবে এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে বেশি সময় লাগবে না এই এলাকা বিলিন হতে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতিসত্বর যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দাবি জানাই। কীর্তনখোলার বেলতলা (চরবাড়িয়া নদীর) অপর পাশের চরে যেভাবে ড্রেজিং করে বালু কেটে খনন করা হয়েছে এই চরমোনাই দরবার শরীফের নদীর অপর এলাকা পোটকার চরের নদীপ্রান্ত কেটে খনন করলে (চর কেটে দিলে) এই ভাঙ্গন রোধ করাও সম্ভব বলে মনে করেন এই এলকার অনেক প্রবীণ মুরব্বীরাও। উল্ল্যেখ, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বছরে দুটি জমায়েত হয় এই চরমোনাইর মাহফিলে। এই ঐতিহ্যবাহী চরমোনাইর সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব সরকারের বলে মনে করেন এলাকাবাসী। তারা পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।