বাউফলে উদ্ধার হওয়া ২৪০ পিস ইয়াবার কোন হদিস নেই

আল-আমিন | ২১:০৭, মার্চ ০৩ ২০২৪ মিনিট

পটুয়াখালীর বাউফলে পলাশ গাজী (২৭) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে পলাশ (২৫) নামের দুই ব্যক্তিকে ৩১০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হলেও ৭০ পিস ইয়া উদ্ধার দেখিয়ে বাকি ২৪০ পিস ইয়াবা গায়েব করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাউফল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাউফল থানার ওসি। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার (৩রা মার্চ) সকালে পটুয়াখালী আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার (২রা মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের বাজার রোড থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে পলাশ এবং গার্লস স্কুল সড়ক থেকে পলাশ গাজী নামের ২ ব্যক্তিকে মোট ৩১০পিস ইয়াবাসহ আটক করে বাউফল থানার এসআই মনমথ হালদার। এরমধ্যে আব্দুলাহ আল মামুন ওরফে পলাশের নিকট থেকে ৬০ পিচ ও পলাশ গাজীর নিকট থেকে ২৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অথচ মামলার এজাহারে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে পলাশের কাছ থেকে ১০ পিস এবং পলাশ গাজীর কাছ থেকে ৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে ২শত ৪০পিচ ইয়াবা গেল কোথায়? এ মামলায় স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। অথচ কত পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি তাদেরকে। এমনকি তাদের সামনেও ইয়াবার প্যাকেট খোলা হয়নি। সাক্ষিদের ভাষ্যমতে- তাদেরকে এসে একটি কাগজে স্বাক্ষর চাওয়া হয়েছে তারা স্বক্ষর দিয়েছেন। কেন বা কি কারণে স্বাক্ষর নেয় হয়েছে তা জানেন না তারা। অভিযোগ রয়েছে কয়েকজন প্রভাবাশলীর যোগসাজশে এসআই মনমথ হালদার অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মামলার এজাহারে ইয়াবা উদ্ধারের সংখ্যা কমিয়ে দেখিয়েছেন। এ সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের সংরক্ষণে রয়েছে। এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ বিষয়টি আমার সার্কেল সাহেব জানেন, আমার তদন্ত সাহেব জানেন। প্রথম ছেলের কাছ থেকে ১০ পিস, দ্বিতীয় ছেলের কাছ থেকে ৬০ পিস ইয়াবা তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়ছে। ৩১০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি সত্য নয়। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আরও বলেন, বহিরাগত কিছু ব্যক্তি দরকসাকসিতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে এ রিউমারটি ছড়িয়ে দিয়েছে।