কারণ ছাড়াই হাসপাতালে ভর্তি শেবাচিমের ১১১ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক

কামরুন নাহার | ১২:৩৮, এপ্রিল ২৩ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো কারণ ছাড়াই ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালের ১১১ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক। পরে অবশ্য রহস্যজনকভাবে তাদের নামও কেটে দেয়া হয়েছে ভর্তি খাতা থেকে। জানা গেছে, গত রোববার ৯৫জন এবং সোমবার ১৬জন ইন্টার্ন এই হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা উপসর্গ না থাকা সত্বেও এই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অথচ এদের মধ্যে শুধু মাত্র চারজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এতে করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে পুরো হাসপাতালজুড়ে। এছাড়া তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ছিলেন হোস্টেলেই। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও সদুত্তর দিতে পারেননি হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন। এদিকে বরিশালে এতজন চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি কিন্তু এ বিষয়ে কিছু জানা নেই করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এসএম অজিয়র রহমানের। এছাড়া এই বিষয়ে কিছুই জানেন না জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেনও। হাসপাতালের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার ইন্টার্ন চিকিৎসকের করোনা পজিটিভ আসার পর হোস্টেল লকডাউন করে দেয় কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে তিনজনকেই হোস্টেলে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরে তাদের সংস্পর্ষে আসা ৬১জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও তা নেগেটিভ আসে। এরপরেও তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হোস্টেলেই অবস্থান করছিলেন। পরে মঙ্গলবার তাদের নাম ভর্তি খাতা থেকে কেটে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তাদের ভর্তির কারণ কি ছিলো? এরকম প্রশ্ন হাসপাতালের অনেক চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করা হলেও তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক জানান, হোস্টেল লকডাউন করার কারণে হোস্টেলে খাবার রন্ধন করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনেক সমস্যার মধ্যে পরে। তাই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে এখান থেকেই খাবার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। এই বিষয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন বলেন, আমরা চেয়েছিলাম তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার। কিন্তু তারা সেখানে কমফোর্টেবল ফিল না করায় হোস্টেলেই অবস্থান করেছেন এবং ইতিমধ্যে তাদের নামও কেটে দেয়া হয়েছে। বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন তিনি। বরিশাল জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, শুধু ডক্টরস নয় সাধারণ জনগনেরও করোনা উপসর্গ বা করোনায় আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই কিন্তু সমস্যার সমাধান নয়। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। তারা কি করতে চাইছে সেটাও জানা হবে।