চাল চুরির দায়ে বরিশালের ৫ জনসহ ৩৫ জন জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত

কামরুন নাহার | ২২:৩৯, এপ্রিল ২৩ ২০২০ মিনিট

রিপোর্ট দেশ জনপদ :  ত্রাণ আত্মসাৎ, সরকারি নির্দেশনা অমান্যসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আরো সাতজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তিনজন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানায়। এ নিয়ে মোট ৩৫ জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ১৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ১৯ জন ইউপি সদস্য এবং একজন জেলা পরিষদ সদস্য।সবশেষ সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা হলেন- বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউপির মো. নূরে আলম বেপারী, ভোলার সদরের রাজাপুর ইউপির মো. মিজানুর রহমান খান, পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ইউপির মো. মনির রহমান মৃধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউপির শাহ আল শফি আনসারী, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির মো. সিদ্দিকুর রহমান মন্ডল, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউপির জারজিদ মোল্লা এবং কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরী। আর সাময়িক বরখাস্তকৃত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা হলন- নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মহিউদ্দিন সোহেল এবং একই উপজেলার কেশবপুর ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. লিপি বেগম। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের সময় তাদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাৎ, জাটকা নিধনে বিরত থাকা জেলেদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাৎ ও কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।এদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আল শফি আনসারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর সময় এলাকায় অবস্থান না করে বিনা অনুমতিতে বিদেশ গমন করেছেন এবং নেত্রকোনা জেলার গাঁওকান্দিয়া ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ষাড়ের লড়াই আয়োজনের মাধ্যমে গণজমায়েত করে জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন। তাদের কয়েকজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন। এসব চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধমূলক কাজ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।