৭৮ বছরেও পাকা ভবন হয়নি মাদ্রাসার, ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান

আল-আমিন | ১৬:৩৮, ফেব্রুয়ারি ১২ ২০২৪ মিনিট

টিনশেড দুটি ঘরে ছোট-বড় অনেক ছিদ্র। দরজা-জানালা নেই বললেই চলে। টিনে চালে জং ধরে হাজারো ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে শ্রেণিকক্ষে জমে পানি। ভাঙাচোরা এসব ঘরে বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে ভোলার লালমোহন উপজেলার করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ৭৮ বছরেও মাদ্রাসার পাকা ভবন নির্মাণ হয়নি। একটি ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে সাতবার চিঠি দিয়েও কোনও কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যথাযথ উদ্যোগের অভাবে প্রতিষ্ঠার এত বছর পরও প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ভবন না থাকার পাশাপাশি আছে শ্রেণিকক্ষের সংকট।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, ১৯৪৫ সালে দুটি টিনশেড ঘরে করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এখনও সেই ঘরেই পাঠদান চলছে। বহু বছরের পুরোনো হওয়ায় ঘর দুটির দরজা-জানালা নেই। ফলে বৃষ্টি হলে শ্রেণিকক্ষে পানি জমে। এতে পাঠদান ব্যাহত হয়। অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, শিক্ষার্থীদের বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়। একপ্রকার ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে আলিম (একাদশ) পর্যন্ত ৪৫০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিদিন ২৫০ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। প্রতি বছর দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় ১০০ জন করে শিক্ষার্থী। বছরে মাদ্রাসায় ভর্তি হয় শতাধিক নতুন শিক্ষার্থী। কষ্ট ও দুর্ভোগ নিয়ে লেখাপড়া করছে তারা।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. নূর নবী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মন্ত্রণালয় অথবা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর ডিও লেটার দিয়ে থাকেন। এর ভিত্তিতে প্রধান প্রকৌশলীর দফতর থেকে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। সংসদ সদস্যের সুপারিশের বাইরে আমাদের কিছুই করার নেই।’