ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে গাছ কেটে নেওয়ায় জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত

প্রশ্ন:ভুয়া কার্যাদেশ তৈরি করে গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
রফিকুল আলম: এটি মারাত্মক অপরাধ, দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথমত, ওই ব্যক্তি ভুয়া কার্যাদেশ তৈরি করে রাষ্ট্র ও নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। দ্বিতীয়ত, তিনি পরিবেশের ক্ষতি করেছেন এবং বন আইনের লঙ্ঘন করেছেন। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। একই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, সওজ—কেউই দায় এড়াতে পারে না।
প্রশ্ন:বন ও পরিবেশ আইনে কী বলা হয়েছে?
রফিকুল আলম: আইন অনুযায়ী, যেকোনো গাছ কাটতে হলে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রচলিত আইন অনুযায়ী, গাছ কেটে সরকারের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে অবস্থানগত ছাড়পত্র, পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) এবং গাছ কাটার জন্য আলাদা অনুমোদন লাগে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গাছগুলো যেভাবে কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা দেশের পরিবেশ ও বনসংক্রান্ত একাধিক আইনের লঙ্ঘন। আর একটি পক্ষ এ সুযোগ নিয়েছে ভুয়া কার্যাদেশ তৈরি করার মধ্য দিয়ে। সরকারি সংস্থাগুলো এভাবে আইন ভাঙলে দেশের পরিবেশ কীভাবে রক্ষা পাবে? বনজ সম্পদ পরিবহন বিধিমালায় সরকারি বা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন যেকোনো জমিতে কোনো গাছ থাকলেই সে তা নিজের ইচ্ছেমতো কাটতে পারে না। এ জন্য স্থানীয় বন বিভাগের কাছ থেকে ওই গাছ কাটা ও পরিবহনের অনুমতি নিতে হয়। বন বিভাগের অনুমোদন না নিলে অবশ্যই এটা নিয়মের ব্যত্যয়।