রুপাতলীতে তুচ্ছ ঘটনায় বসতঘরে হামলা, মারধরে নারী হাসপাতালে
আল-আমিন|১৮:৪৯, জানুয়ারি ২৭ ২০২৪ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের রুপাতলীতে তুচ্ছ ঘটনায় অসহায় একটি পরিবারকে মারধর ও বসতঘরে হামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অপরাহ্নের এই ঘটনায় ২৪ নং ওয়ার্ডে খলিফাবাড়ির ফিরোজ ফলিফার স্ত্রী দুই সন্তানেরর জননী জোলেখা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত নারীর স্বামী ফিরোজ হাওলাদারের অভিযোগ, পড়শি সোহরাব, তার দুই ছেলে সাকিল ওরফে সাদ্দাম এবং বাবু দলবল নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বাসায় হামলা করে। এবং তাদের সন্তান মুন্নাকে মারধর করতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসে। তখন তাদের প্রতিরোধে জোলেখা বেগম অগ্রসর হলে বাব-ছেলেরা মিলেমিশে তার ওপর হামলা করে, এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। পরক্ষণে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে, জানান ফিরোজ হাওলাদার।
মি. ফিরোজ জানান, পড়শি সোহরাবের ছেলেদের পোল্ট্রি ব্যবসা আছে, সেখানে তাঁর ছেলে কর্মরত ছিল। সে পিআকভ্যানে মুরগি বিভিন্ন স্থানে সাপ্লাই করতো। কিছুদিন পুর্বে অনুরুপভাবে মুরগি নিয়ে বাবুগঞ্জ যাওয়ার প্রাক্কালে সেই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই ঘটনায় মুন্নাকে দোষারোপ করাসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করে সোহরাব এবং তাদের সন্তানেরা।
সেই অর্থ দিতে না পারায় বৃহস্পতিবার তর্কাতকির একপর্যায়ে সোহরাব ছেলে সন্তানদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাসায় হামলা করে। এতে তাদের সাথে স্থানীয় আরও কয়েকজন যুবক ছিল। তারা সকলে মুন্নাকে কোপাতে এগিয়ে আসলে তাদের রোহিত করার চেষ্টা করেন জোলেখা বেগম। তখন অস্ত্রধারীরা মুন্নাকে ধরতে না পারলেও তাঁর মাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সোহরাবসহ তার ছেলেরা পালিয়ে গেলে জোলেখা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রুপাতলীর এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় সাকিল এবং বাবুর বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তাদের বাবা সোহরাব দাবি করছেন, তিনি গতকাল শুক্রবার বাড়িতে ছিলেন। তবে শুনেছেন তার ছেলেদের সাথে মুন্নার পরিবারের ঝামেলা হয়েছে।
অবশ্য ভুক্তভোগী জোলেখা বেগম দাবি করছেন পুরো ঘটনাটি সোহরাবের উপস্থিতিতে ঘটেছে এবং তিনিও হামলায় জড়িত আছেন। এখন দায় এড়াতে ছেলেদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। জোলেখার স্বামী ফিরোজ জানান, হামলার ঘটনায় সোহরাবসহ তাদের ছেলে এবং গুন্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কোতয়ালি মডেল থানায় একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে। কোতয়ালি পুলিশের ওসি মো. আরিচুল হক জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি মোটেও অবগত নন, তবে যেহেতু ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছে। সেক্ষেত্রে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগী ফিরোজ আরও অভিযোগ করেন, সোহরাব এবং তার ছেলেরা জোলেখা বেগমকে মারধর করেই খ্যান্ত হয়নি। এখন প্রকাশে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে, বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে তাদের প্রাণরক্ষা হবে না। এমনকি খুন করে লাশ গুমেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের খলিফাবাড়ি এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে সোহরাবের পরিবার। এলাকাভিত্তিক গড়ে ওঠা এই সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।’