বরিশালে বাজার পরিদর্শনে ভোক্তার ডিজি

আল-আমিন | ১৮:৩০, জানুয়ারি ২৭ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিম, ব্রয়লার মুরগির মতো চালের বাজারও নিয়ন্ত্রন হয় মোবাইলের মাধ্যমে। মোবাইল এসএমএস’র মাধ্যমে নিত্যপন্যের বাজার অস্থির করা হয়। আর এটা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় কার্যক্রম নেব। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বরিশাল নগরীর ফরিয়াপট্টি, চকবাজার এলাকার পাইকারি বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, উত্তরবঙ্গে চালের বড় বড় কয়েকশ কল আছে। তারা চালের বাজার অস্থির করতে জোটবদ্ধ হয়েছে। একজন দাম বাড়ালে বাকিরাও বাড়ায়। মাঝে মাঝে সুযোগ নিয়ে ১৭ কোটি ভোক্তাকে প্রতারিত করছে ক্ষুদ্র কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এর আগে আলু, ব্রয়লার মুরগি, ডিম নিয়ে যা করছে আজ চাল, কাল পেঁয়াজ নিয়েও তা করা হচ্ছে, আর এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রয়েছে আমাদের। মোকামে চালের দাম বাড়ানোর পেছনে একটি চক্র ‘সারা দেশে ধানের দাম বেড়েছে’ বলে প্রচার করেছে। ধানের দাম যদি বেড়েও থাকে সেই চালটা তো দুই মাস পরে অর্থাৎ বৈশাখ মাসে বাজারে আসবে। কিন্তু এখন ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি চার টাকা বেশি দামে যে চালটা পাওয়া যাচ্ছে তাতো নতুন করে উৎপাদন হয়নি। তাছাড়া ট্রাক ভাড়া, দোকান ভাড়া, কর্মচারি বেতন বাড়েনি। তাহলে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলে ১৫ দিনের ব্যবধানে দাম বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। আর এ অযৌক্তিক বিষয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। এ সময় তিনি আরো বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে ডাল, চিনি, তেলসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে যাতে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করতে না পারে সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করছে। অপরদিকে বরিশালের পাইকারি মার্কেটে পাওয়া খোলা ভোজ্য তেলের অপরিষ্কার ড্রাম দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ডিজি বলেন, ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে লেভেলহীন ড্রামে করে পাম তেল, সুপার পাম এবং সয়াবিন পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দামেও বড় পার্থক্য রয়েছে। বাজার পরিদর্শন শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজনে চাল, ভোজ্য তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মহা পরিচালক। এসময় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘড়াই উপস্থিত ছিলেন।